কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নেত্রকোনা বোমা হামলার ১৭ বছর

www.ajkerpatrika.com নেত্রকোনা সঙ্গীতা ইমাম প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:২৩

২০০৫ সালে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই এক ভয়াবহ নির্মমতার শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর নেত্রকোনা জেলা সংসদ। ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনা শহরের অজহর রোডে উদীচীর কার্যালয়ের সামনে জঙ্গি সংগঠন জেএমবির আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছিলেন আটজন। ১৭ বছর আগের ওই দিনটির কথা মনে হলে আজও উদীচীর কর্মী-বন্ধুদের গা শিউরে ওঠে। সারা দেশই তখন আক্রান্ত ছিল জঙ্গিবাদের ভয়াল থাবায়। দেশের নানা প্রান্তে আত্মঘাতী হামলা ও মানুষ হত্যার নারকীয় সংবাদগুলো তৎকালীন সংবাদপত্রে প্রায় প্রতিদিনই চোখে পড়ত। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। এর এক বছর আগে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো হয়েছিল পৈশাচিক গ্রেনেড হামলা।


সে সময় উদীচীর মতোই যাঁরা এই জঙ্গি-সন্ত্রাসের নির্মম শিকার হয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই জানেন, প্রতিটি সন্ত্রাসের পেছনেই রাষ্ট্রীয় মদদ ছিল পরিষ্কার। তৎকালীন সরকার, প্রশাসন, এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বাঁচানোর অপচেষ্টা করেছে। প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ছাড়া ধর্মীয় ও জাতিগত বিভিন্ন গোষ্ঠীর ওপরও চালানো হয়েছিল স্টিম রোলার। আর জঙ্গি-সন্ত্রাসী বাংলা ভাই কিংবা শায়খ আবদুর রহমানের পক্ষে সংসদে দাঁড়িয়ে সাফাই গেয়েছিলেন চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা। জামায়াত নেতা ও তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী রাজাকার নিজামী তো বলেছিলেন, ‘বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’। এক যুগের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু সেই সব নৃশংসতার কথা আমরা আজও ভুলিনি; কোনো দিন ভুলবও না।


২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনা উদীচী কার্যালয়ের সামনে জেএমবির বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন উদীচীর প্রিয় মুখ খাজা হায়দার হোসেন ও নাট্যব্যক্তিত্ব সুদীপ্তা পাল শেলী। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে ছিলেন মোটর মেকানিক যাদব দাস, রিকশাচালক আফতাব উদ্দিন, রইছ উদ্দিন, গৃহকর্ত্রী রাণী আক্তার এবং জয়নাল। আত্মঘাতী হামলাকারী এক কিশোরও এ দিন নিহত হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৯২ জনের বেশি মানুষ। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকাও ছিল নেত্রকোনা (নেত্রকোনা-৪)। কিন্তু এই বোমা হামলা ও মানুষ হত্যার দায়ে জঙ্গিদের বিচার করতে এক যুগের বেশি সময় লেগেছে। কারণ, পরে আমরা জানতে পারি, সে সময় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন জঙ্গি-সন্ত্রাসে চারদলীয় জোটের খোদ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীরই মদদ ছিল। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় সে প্রমাণ উঠে এসেছে। আদালত রায়ও দিয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও