গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে আমলাতন্ত্রী বাংলাদেশ

কালের কণ্ঠ আবদুল মান্নান প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২২, ১২:৩২

আজকের লেখাটি দুজন প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তির বক্তব্য দিয়ে শুরু করি। প্রথমজন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালের অক্টোবর মাসে বঙ্গবন্ধু গিয়েছিলেন চট্টগ্রামে। স্থানীয় সার্কিট হাউসে তিনি মিলিত হন জেলার বিভিন্ন পেশার মানুষ ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে।


উদ্দেশ্য, একটি সদ্যঃস্বাধীন হওয়া দেশ পুনর্গঠনে তাঁদের পরামর্শ চাওয়া। সমাপনী বক্তব্য দিতে গিয়ে শিক্ষা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা শুধু আমলা সৃষ্টি করেছে, মানুষ সৃষ্টি করেনি। ’ বঙ্গবন্ধু বলে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর পেশাজীবীদের সম্পর্কে এই কঠিন সত্যটা উচ্চারণ করতে সাহস পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় বক্তব্যটি ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। তখন তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ করেছেন। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ভারতের আহমেদাবাদের বিখ্যাত আইআইএম-এর এক অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে আমলাতন্ত্র। ’ এটি সত্য, আমলা ছাড়া কোনো দেশের প্রশাসন চলতে পারে না। তবে তাতে যদি তন্ত্র যোগ হয়, তাহলেই দেশের সর্বনাশের শুরু। আমলাদের কাজ হচ্ছে নীতিনির্ধারকদের কাজে সহায়তা ও তা বাস্তবায়ন করা। নীতিনির্ধারক যদি কোনো ভুল করে থাকেন বা কোনো কিছু না জেনে থাকেন, তাঁকে এ ব্যাপারে আইনি সহায়তা দেওয়া। কিন্তু তা না করে কোনো আমলা যদি নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নীতিনির্ধারককে বিপথে চালিত করেন, তখনই হয় সর্বনাশ, যা যেকোনো সরকারকে বিপদে ফেলতে পারে। সরকার পরিবর্তন হলে নানা কারণে অনেক সময় কারাবরণ করেন রাজনীতিবিদরা। কোনো আমলাকে কারাবরণ করতে হয়েছে, তেমনটি খুব একটা দেখা যায়নি।


এই মুহূর্তে বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র যেকোনো সময়ের চেয়ে ক্ষমতাবান। কখনো কখনো মনে হয় তাঁদের ক্ষমতা সরকারপ্রধানের চেয়েও বেশি। এই ক্ষমতা তাঁরা অনেক ক্ষেত্রে অবসরের পরও ভোগ করেন। আর একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আমলা কখনো অবসরে যান না। নিজ কর্মক্ষেত্র থেকে অবসর নেওয়ার পর কেউ হন কোনো সরকারি করপোরেশনের প্রধান বা কোনো সরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান অথবা কেউ যান রাষ্ট্রদূত হয়ে। কিংবা বিশ্বব্যাংকে বড় বেতনের চাকরি নিয়ে চলে যান কেউ। একজন কর্তব্যনিষ্ঠ আমলার অন্যতম কাজ হচ্ছে দেশের প্রকৃত অবস্থা বা কোনটা আইনি সিদ্ধান্ত আর কোনটি নয় বা কোনটি নীতিবিরোধী তা সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানকে সঠিক সময়ে অবহিত করা। বর্তমানে তা তেমন দেখা যাচ্ছে বলে মনে হয় না। সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান যা শুনলে খুশি হবেন সেটাই যদি তাঁর চারপাশের আমলারা তাঁকে সব সময় শোনাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তখন তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। বঙ্গবন্ধুর আমলে ১৯৭৪ সালে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিলে তখন তাঁকে খাদ্য মজুদ বা প্রাপ্যতা সম্পর্কে যে আমলাটি অসত্য তথ্য সরবরাহ করতেন তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়ার উপদেষ্টা ও পরে খাদ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তাঁর সন্তান এখন বিএনপির বড় নেতা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও