খেলাধুলা ক্যারিয়ার না হলে শহুরে মেয়েরা খেলায় ঝুঁকবে না

দেশ রূপান্তর কামরুন নাহার ডানা প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৫৫

বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের বহুল আলোচিত নাম কামরুন নাহার ডানা। সাবেক এই ব্যাডমিন্টন তারকা ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন। আজকের নারী ফুটবল যে সাফল্যের ভেলায় ভাসছে, তার শুরুর দিকের লড়াকু সৈনিক ছিলেন ডানা। নারীদের ক্রীড়াঙ্গনের সাফল্য, সম্ভাবনা ও সংকটের বিষয়ে দেশ রূপান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন খ্যাতিমান এই ক্রীড়াবিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সুদীপ্ত আনন্দ


দেশ রূপান্তর: বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জয় করেছে। নারী ফুটবলের কথা এলে আপনার নাম চলেই আসে। একটা সময় এদেশে মেয়েদের ফুটবল প্রতিষ্ঠা করতে অনেক লড়াই করতে হয়েছে আপনাকে। সেই গল্পটা শুনতে চাই।


কামরুন নাহার ডানা: সবার আগে পরিচয় হচ্ছে আমি একজন মানুষ। একজন মানুষ হিসেবে মেয়েদেরও খেলার অধিকার আছে। এদেশে নারী ফুটবলের প্রচলন সেভাবে ছিল না। ২০০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের একটি নারী ফুটবল দল প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল। তখন আমাদের ফুটবল দল বলতে কিছু ছিল না। অন্য খেলার পাঁচ মেয়েকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে খেলতে রাজি করানো হয়। আর পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা মেয়েদের নিয়ে দুটি দল করা হয়। মিরপুরে একদম চুপিসারে ম্যাচটা হয়েছিল। তবে এটা ঠিক। এরও অনেক আগে, অর্থাৎ ১৯৭৮-৭৯ সালে কোচ সাহেব আলী ভাই একটা দল করেছিলেন। তবে তার ধারাবাহিকতা থাকেনি। আমার ফুটবলের সঙ্গে পুরোপুরি জড়িত হওয়া ২০০৩ সালে। তখন আমি বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক। আমি জেনেছিলাম নারী ফুটবলের জন্য ফিফা-এএফসি একটা অনুদান বাফুফেকে দেয়। তবে বাফুফে সেটা অন্য খাতে খরচ করে। তারা আসলে নারী ফুটবল শুরু করার সাহসটাই পায়নি পারিপার্শ্বিক নানা কারণে। তাদের আসলে কোনো দূরদৃষ্টি ছিল না। মৌলবাদীদের ভয়ে তারা সাহস পায়নি। একদিন আমি বাফুফের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবর একটা চিরকুট লিখে মেয়েদের ফুটবল খেলা শুরুর অনুরোধ জানাই। মহিলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে সবধরনের কারিগরি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিই। আমার চিরকুট পেয়ে বাফুফে সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েদের ফুটবল শুরু করার। একটা মহিলা ফুটবল কমিটি করা হলো সিরাজুল ইসলাম বাচ্চু ভাইকে চেয়ারম্যান ও আমাকে সম্পাদক করে। তখন থেকে মেয়েদের ফুটবলচর্চা শুরু হলো অনেকটা চুপিসারে। মেয়েরা হাফপ্যান্ট পরে মাঠ খেলবে, এটা তো মৌলবাদীরা মেনে নেবে না। তখন আমরা মহিলা ক্রীড়া সংস্থাতে উন্মুক্ত ট্রায়াল আয়োজন করলাম। সেখানে প্রায় ২০০ মেয়ে চলে এলো। সেখান থেকে আমরা ধাপে ধাপে বাছাই করে ৩০ জনকে নির্বাচন করলাম ক্যাম্পের জন্য। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে অনুরোধ করলাম আমাদের ক্যাম্পটা করার জন্য। এরপর ২০০৪ সালে বাফুফে থেকে একটা টুর্নামেন্ট করলাম। আন্তঃজেলা টুর্নামেন্ট নামে। আমাদের হাতে থাকা মেয়েদের ছয় দলে বিভক্ত করে লিগ আয়োজন করেছে বসুন্ধরা কিংস। তখন অনেকেই এটা নিয়ে হাসাহাসি কটূক্তি করেছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও