বিএনপি-জামায়াতের মান-অভিমান পর্ব
বিএনপির সঙ্গে আর জোটে থাকবে না বলে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের একটা বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমের পাশাপাশি মূলধারার সংবাদমাধ্যমেও নানা জল্পনা চলছে। যদিও জামায়াতের অন্য নেতারা বলছেন, এটি তাঁদের দলীয় অবস্থান নয়; আমিরের 'ব্যক্তিগত' মত মাত্র। আর বিএনপি নেতারা একেবারে স্পিকটিনট। রোববার সমকালের এক প্রতিবেদন অনুসারে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুধু বলেছেন, 'সময় হলে সব জানানো হবে।'
এ ছাড়া জামায়াতের আমিরের বক্তব্যের ভিডিওটি কবে কোথায় ধারণকৃত, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। অর্থাৎ শফিকুর রহমানের বক্তব্যতে তাঁর দলের অনুমোদন তো নেই-ই; এটি যে দলটির সাম্প্রতিক কোনো উপলব্ধি- তাও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। তার পরও রাজনীতি নিয়ে আগ্রহীরা ভিডিওটির বক্তব্য নিয়ে চর্চায় মশগুল। কেউ কেউ তো এতে রীতিমতো ক্ষমতাকেন্দ্রিক রজনীতিতে নতুন সমীকরণেরও ইঙ্গিত পাচ্ছেন।
জল্পনাকারী অনেকের যুক্তি হলো, বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়েছে ঠিকই; তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদার-প্রগতিমনা সমর্থকদের জোরালো দাবি সত্ত্বেও দলটিকে এখনও নিষিদ্ধ করেনি। দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়েছে মাত্র। এর পেছনে নিশ্চয় কোনো 'অভিসন্ধি' রয়েছে। সেটা হলো, জামায়াত যদি বিএনপিকে ছেড়ে এসে সরকারের কথামতো চলে তাহলে তার নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়া হবে। বলা হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনেই সরকারের সঙ্গে জামায়াতের বোঝা-পড়া স্পষ্ট হবে।