লক্ষ্মীপুরে প্রসূতির মৃত্যু, ডাক্তারের বিরুদ্ধে ভুল ইঞ্জেকশন পুশের অভিযোগ স্বজনদের
লক্ষ্মীপুরে ভুল চিকিৎসায় মুক্তা নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে একটি বেসরকারি ক্লিনিকের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শহরের উপশম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা। অভিযুক্ত চিকিৎসক শংকর কুমার বসাক মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি উপশম হাসপাতালে প্রাইভেট রোগী দেখেন। জানা যায়, রায়পুর উপজেলার চর মোহনা গ্রামের মো. সোহেলের স্ত্রী মুক্তা প্রসব ব্যথা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ডা. শংকর কুমার বসাকের তত্ত্বাবধানে উপশম হাসপাতালে ভর্তি হয়।
বিকাল ৩টার দিকে প্রসূতির সিজার করার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ে সিজার না করে রাত ৯টার দিকে গাইনি চিকিৎসক শংকর কুমার বসাক সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর তার (মুক্তা) অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে অন্যত্র প্রেরণ করেন চিকিৎসক। স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, অপারেশন কক্ষে ইঞ্জেকশন পুশ করার পর প্রসূতির মৃত্যু হয়।
কিন্তু চিকিৎসক তা গোপন করে মৃত অবস্থায় রোগীকে রেফার করেন। এদিকে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর স্বজনদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের দিয়ে আপোষ-মিমাংসার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এখন আতঙ্ক ও ভয়ের মধ্যে রয়েছেন। গাইনি চিকিৎসক শংকর কুমার বসাক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সব নিয়ম অনুসরণ করেই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।