শিক্ষাঙ্গনে দাপট-পরাস্ত করার কি উপায় নেই?
মার্কিন মুলুক থেকে প্রায়ই জানতে পারছি, সেখানকার স্কুলে বন্দুকধারী কোনো শিক্ষার্থী কিংবা উগ্র মানসিক কোনো তরুণ শিক্ষাঙ্গনে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ছে। তাতে ছাত্র-শিক্ষক হতাহত হচ্ছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নয়, সে দেশের দোকানপাট এবং বাসস্ট্যান্ডেও এ ধরনের হত্যাকাণ্ড প্রায়ই ঘটে থাকে। আমরা একদিকে বিস্মিত হই, অন্যদিকে প্রমাদ গুনি ভাগ্যিস আমাদের ছেলেপেলেরা এতটা বেপরোয়া হয়ে যায়নি।
কিন্তু সাভারের হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশরাফুল আহসান জিতু তারই শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। হাসপাতালে মারা যান সেই শিক্ষক। শিক্ষকের অপরাধ ইভ টিজিংসহ আচরণগত সমস্যার কারণে শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান হিসেবে জিতুকে শাসন করা। শিক্ষককে আঘাতের পরও সে শিক্ষাঙ্গনে এসে বীরদর্পে ঘুরে গেছে। জিতু এলাকায় কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে বেড়াচ্ছিল। তার এভাবে বেড়ে ওঠার পেছনে অভিভাবকদের সমর্থন বা নীরব ভূমিকা ছিল। অথচ দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী এভাবে মানুষ হত্যার মতো গ্যাংস্টারে পরিণত হওয়া মার্কিন মুলুকের হঠাৎ রাইফেলধারী হয়ে ওঠার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।