বঙ্গবন্ধুর পদস্পর্শ ছাড়া অপূর্ণ ছিল স্বাধীনতা
কালের ইতিহাসে কোনো কোনো শাসকও যে জনগণের জন্যে কাতর-উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং তাদের দুর্দশা লাঘবের জন্য সব ছেড়ে-ছুঁড়ে সংগ্রাম করেছেন তারই একখণ্ড উদাহরণ সফোক্লিসের ‘ঈদিপাস’নাটক। যেখানে গ্রিক রাজা ঈদিপাস তার প্রাসাদ মুখে দাঁড়িয়ে দুই হাত প্রসারিত করে জনগণের দুর্দশাকে আলিঙ্গন করেছেন এবং তার থেকে উদ্ধারের পথ নির্মাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। বাঙালির জীবনেও এমন একজন ‘রাজা’র আগমন ঘটেছিল। তবে তিনি কোনো প্রাসাদের অধিকারী ছিলেন না।
রাখালের মত মাঠ-ঘাট পেরিয়ে তিনি মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যেতেন। মানুষের দুঃখ অনুভব করতেন এবং সেই দুঃখ-দুর্দশাকে জয় করবার তাগিদে জীবনের শেষ আলোকবিন্দু পর্যন্ত ‘জনগণের জন্য-জনগণের হয়ে’লড়াই করে গেছেন। সেই রাজা-মহারাজার নাম শেখ মুজিব। গ্রিক নাটক ঈদিপাসে রাজা ঈদিপাস যেমন জনগণের দুঃখ-দুর্দশায় কাতর হয়ে প্রাসাদ মুখে বেড়িয়ে এসেছিলেন, জনগণের সাথে যন্ত্রণাগ্রস্ত হয়েছিলেন- তেমনি শেখ মুজিব তার দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের কাছে হাজির হয়েছিলেন ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে। যেখানে দুর্দশাকে প্রতিহত করে জয় ছিনিয়ে আনতে ভবিষ্যৎ সার্বিক দিক নির্দেশনা দিয়ে গিয়েছিলেন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৭ মার্চের ভাষণ তাৎপর্যই যার প্রমাণ। যদিও যুদ্ধ চলার পুরোটা সময় তিনি ছিলেন পাকিস্তান কারাগারে বন্দি।