অন্যায়কারীর সঙ্গে সমঝোতা কি নারী পীড়নের নতুন অস্ত্র

প্রথম আলো মাসুদুর রহমান প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৫, ২১:১২

ন্যায়বিচার হলো সেই আলো, যা প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার এবং যার মাধ্যমে প্রত্যেক ব্যক্তি আইনসম্মতভাবে, নিরপেক্ষভাবে ও ভয়হীনভাবে তাঁর অভিযোগ জানাতে পারেন এবং শুনানির অধিকার পান। এটি একটি সর্বজনীন নৈতিক আদর্শ, যা বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদেও প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্তু এই ন্যায়বিচার যদি শর্তসাপেক্ষ হয়—যেমন যৌতুক বা সহিংসতার অভিযোগ আনতে গেলে একজন নির্যাতিত নারীকে বিচারের আগে তাঁর নির্যাতকের সঙ্গে মধ্যস্থতার জন্য এক টেবিলে বসতে হয়, তাহলে সেই আলোর রং কি সত্যিই খাঁটি থাকে?


২০২৫ সালের সংশোধিত আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০-এ এমনই এক শর্ত সংযুক্ত হয়েছে। এখন থেকে পারিবারিক বিরোধ, যৌতুকের অভিযোগ (ধারা ৩ ও ৪) এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগ (১১ [গ] ধারা) আদালতে দায়েরের আগে বাধ্যতামূলকভাবে ‘বসে সমঝোতা’ করার চেষ্টা করতে হবে।


আইনটি প্রথম শুনতে নিরীহ বা ‘ঝামেলা কমানোর উদ্যোগ’ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এ আইনি কাঠামো নারীকে বিচার পাওয়ার পূর্বে এক অসম লড়াইয়ে ঠেলে দিচ্ছে। একজন নারী যখন নিজের ওপর সংঘটিত সহিংসতার বিচার চাইতে যান, তখন তাঁকে বলা হচ্ছে, ‘তুমি আগে অপরাধীর সঙ্গে বসো, সমঝোতা করো, তারপর বিচার হবে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও