পর্যটনশিল্প বাঁচাতে নিরাপত্তার বিষয়টি জরুরি

কালের কণ্ঠ কক্সবাজার জেলা ড. সুলতান মাহমুদ রানা প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:২৬

বিভিন্ন ধরনের অমানবিক বিষয়ে অনেকবার লিখলেও সাম্প্রতিক সময়ের কক্সবাজারের ঘটনা নিয়ে লিখতে গিয়ে মোটেও স্বস্তি বোধ করছি না। এমন নির্মম ঘটনা শুধু কক্সবাজারে নয়, সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে চলেছে। ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া সত্ত্বেও এর ভয়াবহতা একটুও কমেনি। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের মতো স্থানেও এমন ঘটনা আমাদের চরমভাবে ব্যথিত করে তুলেছে। আর কক্সবাজার এমন একটি জায়গা, যেটির সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির প্রশ্ন রয়েছে। সহজেই অনুমান করা যায়, সাম্প্রতিক কক্সবাজারের এই ঘটনার ফলাফল অনেক ভয়াবহ। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের নিরাপত্তার যে শঙ্কাটি এরই মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনোভাবেই লাঘব করা সম্ভব হবে না।  


বাংলাদেশে  এরই মধ্যে পর্যটন খাত বেশ সুনাম অর্জন করতে শুরু করেছে। এমনকি কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটননগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার বেশ কিছু মেগাপ্রকল্পও গ্রহণ করেছে। আর এসব বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের ফলে আমরা অনেকেই ধারণা করতে পারি, আগামীর সম্ভাবনাময় কক্সবাজার কতটা সমৃদ্ধ হতে যাচ্ছে। গভীর সমুদ্রবন্দর, সোনাদিয়ার ইকোপার্ক, আন্তর্জাতিক বিমানগুলোর জন্য রিফুয়েলিং ব্যবস্থাসহ ২৫টি মেগাপ্রকল্প এবং ৭৭টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজার হবে বিশ্বের বড় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অন্যতম। অথচ ধর্ষণ, অপহরণ, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে অনিরাপদ হয়ে উঠেছে পর্যটন শহর কক্সবাজার। প্রতিদিন কোনো না কোনো ঘটনা ঘটছেই এই শহরে। ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। কয়েক দিন আগে মেরিন ড্রাইভ সড়কের পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে চার স্কুলছাত্রকে সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নামে অপহরণ করা হয়। নানা কৌশলে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে র‌্যাব ও পুলিশ।


কক্সবাজারে বিদেশিদের আকর্ষণ করার জন্য যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, তা এখন বিদেশিদের কাছে তিক্ত অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ হয়ে উঠছে। এই কক্সবাজারেই ২০০৫ সালে বিদেশি নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ ২০১৯ সালেও অস্ট্রেলিয়ার এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল। কৌশলে তিনি বেঁচে যান। তারও আগে ১৯৮৭ সালে আরেক বিদেশি পর্যটক ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও