মহামারি করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার যখন নিম্নমুখী এবং বিষয়টি স্বস্তির, তখন ডেঙ্গুর প্রকোপ আমাদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না। বুধবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু আক্রান্তের অর্ধেকই শিশু। শিশুদের বেলায় যে কোনো রোগের প্রকোপ অধিকতর উদ্বেগ ও ঝুঁকির। কারণ তারা রোগের উপসর্গ বুঝতে কিংবা বর্ণনা করতে পারে না। এ ছাড়া শিশুর রোগ পরিবারের অন্যদেরও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। অবশ্য প্রশ্নটা সামগ্রিকভাবেই মশক নিয়ন্ত্রণের।
শিশু কিংবা বৃদ্ধ সবাইকে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে হবে। এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১১৩টি এলাকায় ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার খবর সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলেছেন, এবার ডেঙ্গুর ধরনও ভিন্ন। অনেকটাই জানা উপসর্গের বাইরে এবার এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে নতুন উপসর্গ, যা সহজে বোঝাও কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা জানি, মশাবাহিত এ রোগ প্রতিরোধে প্রধান করণীয় মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস ও এর বংশবিস্তার রোধ করা।