ট্রাম্পের একশ দিন : যে প্রশ্ন তুলেছে মিডিয়া

যুগান্তর আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৫, ১২:৩৫

যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার মিডিয়াগুলো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ এবং দ্বিতীয় মেয়াদের একশ দিনের কার্যক্রমের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে প্রশ্ন তুলেছে, ট্রাম্প কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে মানসিকভাবে উপযুক্ত? তাদের সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের বিষয় হলো, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও ব্যয়বহুল সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ হিসাবে দায়িত্ব পালনের মানসিক ভারসাম্য তার কতটা আছে। এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য মিডিয়াগুলো আমলাতান্ত্রিক রাজনীতির প্রচলিত ও পরিচিত কৌশল ব্যবহার ছাড়াও কিছু অজ্ঞাত উৎসও ব্যবহার করার কথা স্বীকার করেছে। এক্ষেত্রে মিডিয়া যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি, নীতিমালা এবং ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির অতি প্রচারণার দিকগুলোও যাচাই করেছে।


এ প্রশ্ন যে এবারই উঠেছে তা নয়। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক উত্থানের সময়েও একই প্রশ্ন উঠেছিল। কারণ, এ উত্থান কেবল অপ্রত্যাশিত ছিল না, বিতর্কিতও ছিল, যা আমেরিকান রাজনীতির বৈশিষ্ট্যকে কম্পিত করেছিল এবং তার হোয়াইট হাউজে প্রবেশ আমেরিকান রাজনীতির প্রচলিত ধ্যানধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। ট্রাম্পের প্রতি জনসমর্থনের ঘটনা তার প্রথম মেয়াদের সময় থেকে মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান করে নিয়েছিল। কোন মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলো দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা রাজনৈতিক নিয়মগুলো ভেঙে ফেলায় ব্যবসা ও বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্ব ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজন নেতার আমেরিকার ক্ষমতার শীর্ষে আবির্ভাবকে অপরিহার্য করে তুলেছিল, এ সম্পর্কে তাদের পক্ষে উপসংহারে পৌঁছা সহজ ছিল না। তবে তারা স্বীকার করেন, প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প যদি কেবল রাষ্ট্রীয় নীতিমালার ভিত্তিতে প্রশাসন পরিচালনা করতেন, তাহলে তার ব্যক্তিগত অনেক কিছু উপেক্ষা করা সম্ভব হতো। কিন্তু তিনি প্রশাসন পরিচালনা করছেন তার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ দ্বারা তাড়িত হয়ে। তার মানসিক বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট প্রভাব ফেলে প্রশাসনে। আমেরিকান সংবিধান যদিও প্রেসিডেন্টকে প্রভূত ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে, তা সত্ত্বেও কোনো আমেরিকান রাজনীতিকের ব্যক্তিত্ব রাষ্ট্রের প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এককভাবে ভূমিকা পালনের সুযোগ দেয় না। কংগ্রেস ও সর্বোচ্চ আদালত পদে পদে তার সিদ্ধান্ত আটকে দিতে পারে। তা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আধুনিক আমেরিকার সর্বাধিক ব্যক্তিত্বচালিত প্রেসিডেন্ট, যিনি দৃশ্যত কোনোকিছুর তোয়াক্কা করেন না। তিনি তার সমালোচকদের রূঢ়ভাবে আক্রমণ করেন পরিণতি না ভেবেই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার মানসিক ভারসাম্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।



এ প্রশ্ন সহসা ওঠেনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির প্রথম মেয়াদের ওপর ইতোমধ্যে প্রকাশিত বেশকিছু গ্রন্থে তার অধীনে বিপজ্জনকভাবে ও বিশৃঙ্খল উপায়ে প্রেসিডেন্সি পরিচালনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব গ্রন্থের কোনো কোনোটিতে তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মানসিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন ও উদ্ধৃতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ‘টু মাচ অ্যান্ড নেভার এনাফ’ নামে একটি বই লিখেছেন স্বয়ং ট্রাম্পের ভাগনি মেরি ট্রাম্প। তিনি তার মামাকে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বর্ণনা করেছেন। ২০১৮ সালের মধ্যে বেশির ভাগ আমেরিকান মনে করেছে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদের জন্য অযোগ্য। যেসব মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ট্রাম্পের মানসিক অবস্থার ওপর কাজ করেছেন, তারা তার আচার-আচরণ, একই কথা বারবার বলা, অসহিষ্ণুতা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সূচক বিশ্লেষণ করে তার মানসিক ভারসাম্যহীনতা নিয়ে নিশ্চিত উপসংহারে উপনীত হয়েছিলেন।


খ্যাতিমান আমেরিকান সাংবাদিক মাইকেল ওলফ ২০১৮ সালে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের প্রথম বছরের ওপর ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি অন্যান্য বিষয়ের ওপর ট্রাম্পের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, যারা ট্রাম্পের চারপাশে রয়েছেন, তাদের শতভাগ তাকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য অনুপযুক্ত বলে বিবেচনা করেন। মাইকেল ওলফের মতে, তিনি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির ওপর একটি গ্রন্থ রচনার বিষয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি তাকে হোয়াইট হাউজে প্রবেশাধিকার দিতে রাজি হন। কারণ, ওলফ ২০১৬ সালে ‘দ্য হলিউড রিপোর্টারে’ তার সম্পর্কে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন, যা ট্রাম্পকে মুগ্ধ করেছিল। কিন্তু ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’ প্রকাশিত হওয়ার পর ট্রাম্প বলেন, তিনি কখনো মাইকেল ওলফকে এ ধরনের অনুমতি দেননি। ওলফ দাবি করেছেন, গ্রন্থটি রচনার জন্য হোয়াইট হাউজের প্রয়োজনীয় দলিলপত্রের সাহায্য গ্রহণ ছাড়াও তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার সহযোগী এবং হোয়াইট হাউজের স্টাফসহ দুইশর বেশি ব্যক্তির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও