
সব জীব অবিচ্ছেদ্য ও আত্মীয়তার সূত্রে গ্রথিত
আগামীকাল শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা তথা বৈশাখী পূর্ণিমা। বিশ্বের সব প্রাণীর সুখ-শান্তি ও দেশের সমৃদ্ধি কামনায় আগামীকাল ভোররাতে বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়ে একটানা প্রায় ১০টা পর্যন্ত চলবে কোনো কোনো বিহারে। বিশ্বসহ বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় সেদিন ব্যস্ত সময় কাটাবে। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে ভগবান বুদ্ধের আবির্ভাব বাস্তবিকই ভারতবর্ষ তথা সমগ্র এশিয়ার ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অভ্যুদয়। যার পুণ্যমানসে তৎকালে মানব সমাজে বয়ে এনেছিল এক নতুন আশার আলো। কুলষিত মানবগোষ্ঠীকে দিয়েছিল সাম্য, মৈত্রী ও সংহতির এক অনুপম ললিতবাণী। ভগবান বুদ্ধের আবির্ভাব শুধু যে এক বিস্ময়কর ঘটনা তা নয়, পৃথিবীতে যত মহৎ ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বলেই ভগবান বুদ্ধকে আখ্যায়িত করা হয়।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বোরোরুদূর বৌদ্ধবিহার পরিদর্শন করে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন ক্ষিপ্রগতি বাসনার তাড়নায় তৃপ্তিহীন ত্বরা/কম্পমান ধরা;/বেগ শুধু বেড়ে চলে ঊর্ধ্বশ্বাসে মৃগয়া-উদ্দেশে/ লক্ষ্য ছোটে পথে পথে, কোথাও পৌঁছে না পরিশেষে;/অন্তহারা সঞ্চয়ের আহুতি মাগিয়া/সর্বগ্রাসী ক্ষুধানল উঠেছে জাগিয়া;/তাই আসিয়াছে দিন,/পীড়িত মানুষ মুক্তিহীন,/আবার তাহারে আসিতে হবে যে তীর্থদ্বারে শুনিবারে,/পাষাণের মৌনতটে যে বাণী রয়েছে চিরস্থির/কোলাহল ভেদ করি শত শতাব্দীর/আকাশে উঠিছে অবিরাম/ অমেয় প্রেমের মন্ত্র,‘বুদ্ধের শরণ লইলাম।’
- ট্যাগ:
- মতামত
- বুদ্ধ পূর্ণিমা