প্রশ্ন নয়, জানতে চাই

www.ajkerpatrika.com আবদুল্লাহ জোয়ারদার প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৫, ০৯:২৯

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স ৯ মাস পূর্ণ হয়েছে। মেঘে মেঘে বেলা অনেক হয়েছে। ৯ মাস যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীন হয়েছি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী অনেক হয়েছেন। তাঁরা প্রশাসনিকভাবে অনেকটা অভিজ্ঞ হয়ে উঠছেন। প্রথম দিকে তাঁদের নিয়ে নানা কথা থাকলেও মানুষ ভালো কিছু দেখতে চেয়েছিল। তবে বর্তমানে তাদের নিয়ে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যেসব প্রশ্নের উত্তর জনগণ চায়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের সরকারের সময় একটা নিয়ম হয়ে গিয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর করলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করা হতো।


সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সফরের সময়ের কার্যক্রম সম্পর্কে একটা লিখিত বিবরণ দিতেন। তারপর সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করতে পারতেন। অবশ্য সে প্রশ্নকারীরা ছিলেন সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত। প্রশ্নও করা হতো তেলবাজির মতো। আমাদের শুনতে খারাপ লাগলেও সেসব প্রশ্ন শেখ হাসিনার বেশ ভালো লাগত। কোনো ভিন্নমতের সাংবাদিক গণভবনে যাওয়ার সুযোগ পেতেন না। ওই সাংবাদিকদের সে সময়ের ভূমিকা সম্পর্ক তখন তেমন একটা জানতে পারা যেত না, কারণ কেউ প্রধানমন্ত্রীর বিরাগভাজন হতে চাননি। হাসিনার পতনের পর সেইসব তেলসমৃদ্ধ প্রশ্নকারী সাংবাদিকের অর্থ-সম্পদ সম্পর্ক নানা তথ্য এখন দেশ-বিদেশের মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

কয়েক বছর ধরে সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে একটা তেলেসমাতি কারবার ঘটে যাচ্ছে দেশে। কিছুদিন পরপরই সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেয় ৭-৮টা কোম্পানি। পরে ট্যারিফ কমিশনে দেনদরবার করে দাম বাড়ায়। টিপু মুনশি বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালে বৈঠক শেষে বলতেন, দাম আর বাড়বে না। কিন্তু দেখা যেত ওই বৈঠকের পরপরই দাম বাড়িয়ে দিত মিলমালিকেরা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে তেমন একটা উৎকণ্ঠা দেখা যেত না। কারণ, মন্ত্রীদের সততা সব সময়ই প্রশ্নবিদ্ধ। মিলমালিকেরা দাম বাড়ার অজুহাত দিতেন কোনো সময় আন্তর্জাতিক বাজার, কখনো যুদ্ধ, কখনো ফলন ভালো হয়নি, কখনো ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি। বর্তমান সরকারও যদি এসব মিলমালিকের কাছে জিম্মি হয়ে যায়, তাহলে মানুষ যাবে কার কাছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে সারা বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে একটা অস্থিরতা দেখা দেয়। তখন দেশের কয়েকটি কোম্পানি বিপুল পরিমাণ গম-সয়াবিন আমদানি করে। তারপর তারা একের পর এক দাম বাড়িয়ে যেতে থাকে। সরকারও মিলমালিকদের পক্ষে নানা কথা বলতে থাকে। তখন ময়দা দিয়ে যেসব খাদ্যপণ্য তৈরি হয়, সেসবের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। সাধারণ হোটেলের একটি পরাটা ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা হয়ে যায়, যা আর কমেনি। কিন্তু আটা-ময়দার দাম এখন আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক কমেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও