লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করতে স্থানীয়দের বোঝাচ্ছি : ডিসি হারুন

এনটিভি প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২০, ২১:৪৫

সরকারের ‘রেড জোন’ ঘোষিত রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকার আইবিএ হল সংলগ্ন প্রবেশদ্বারে এসেছেন দুই আইনজীবী। তাঁরা ভেতরে প্রবেশ করতে চান। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের ঢুকতে দিতে চাননি ভেতরে।এই নিয়ে বেশ খানিকটা বাকবিতণ্ডা উভয়ের ভেতর। পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ঢুকতে দেওয়া যাবে না। আইনজীবীরা বলছেন, তাঁদের ঢুকতে দিতে হবে এবং তাঁরা স্থানীয়। ঘটনা আজ রোববার বিকেল ৪টার।

শুধু আইনজীবী নয়, বেশিরভাগ পেশার মানুষকে রেড জোন এলাকা থেকে বের হতে দিচ্ছে না পুলিশ। বের হতে পারছে শুধু জরুরি সেবায় যুক্ত থাকা স্বাস্থ্যকর্মী ও সংবাদকর্মীরা। এর বাইরে যারা প্রবেশ করছে বা বের হচ্ছে যাদের খুব জরুরি দরকার রয়েছে এবং যেতেই হবে। তবে যথোপযুক্ত কারণ দেখিয়ে নাম-পরিচয় লিখে যেতে হচ্ছে বাইরে।

স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়া এক নারী ও আরেক পুরুষ আইনজীবীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। কিন্তু তাঁরা নাম প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন। একজন আইনজীবী বলেন, ‘আমরা গতকাল বাইরে গিয়েছিলাম। এখন আর ঢুকতে পারছি না। অথচ, আমার বাসা এখানেই। আমরা তো সচেতন নাগরিক। প্রয়োজনে বাইরে যাব না? এখন আমরা কোথায় থাকব?’

তবে যথোপযুক্ত কারণ দেখিয়ে অনেককেই প্রবেশদ্বার দিয়ে বের হতে কিংবা ঢুকতে দেখা গেছে। শাহিনা নামের এক নারীর কাছে টাকা ছিল না বলে তাঁকে বের হতে দেওয়া হয়েছিল ব্যাংকে যেতে। আবার উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারায় অনেককে ব্যারিকেটের ভেতরে থেকে বের হতে বা প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলে থেকে এসব দৃশ্য দেখা গেছে।

প্রবেশ কিংবা বের হওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের নবনিযুক্ত উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ এনটিভিকে বলেন, ‘সার্বক্ষণিকই আমরা বিভিন্ন চেকপোস্টে অবস্থান করছি। কারো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দরকার হলে আমরা মানুষকে সহযোগিতা করছি। তবে সাধারণত আমরা জরুরি সেবায় নিয়োজিত ছাড়া কাউকে বের হতে কিংবা ঢুকতে দিচ্ছি না। তাই তিনি যেই হোক না কেন। কিন্তু ধরেন, কারো বাসায় টাকা নেই। তাঁর ব্যাংকে যেতে হবে। তিনি তো বাইরে যাবেনই। সেজন্য আমরা মানবিকতার বিষয়টিও বিবেচনায় নিচ্ছি। মোট কথা হচ্ছে, কাউকে বাইরে যেতে হলে যথোপযুক্ত কারণ দেখিয়ে যেতে হবে। যথোপযুক্ত কারণ দেখালে আমরা অবশ্যই তাঁকে সহযোগিতা করছি। এ ছাড়া লকডাউন আরো কঠোরভাবে কার্যকর করতে আমরা স্থানীয়দের বোঝাচ্ছি। দু-একজন ছাড়া বেশিরভাগ মানুষই আমাদের সহযোগিতা করছে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও