প্লিজ চট্টগ্রাম শহরকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করবেন না মতামত - হাসিনা আকতার নিগার ৮ জুন, ২০২০ ১১:২৭ গত মার্চ মাস থেকে করোনাভাইরাস আর মৃত্যু সংবাদ শুনতে শুনতে মানসিক শক্তিকে ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। আবার জীবন আর জীবিকার যাতাকলে বর্তমান ও ভবিষৎকে কেবল অন্ধকারাছন্ন মনে হয়। এ অবস্থায় চট্টগ্রামের কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার করুণ দশা দেখে হতাশা যেন কন্ঠকে রোধ করে দেয়। চিকিৎসক ও রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য আর বাস্তবতার অমিল শুধু বোঝে এ শহরের ভুক্তভোগীরা। ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতির শিকার হয়ে সত্যি শঙ্কিত এখন নিজে। দিন চারেক আগে শারীরিক এক সমস্যার জন্য রাতের বেলায় একটা ইঞ্জেকশন পুশ করতে হন্য হয়ে খুঁজতে হয়েছে হাসপাতাল আর নার্সকে। এমনকি এলাকার ডিসপেনসারি মেডিক্যাল টেকশিয়ানরাও কাজটি করতে অসম্মতি জানায় করোনার ভয়ে। অগত্যা এক ডাক্তার বন্ধুর শরাপন্ন হয়ে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া গেল কোনমতে। রক্তনালিতে ইনজেকশন পুশ করলো আনাড়ি এক সিস্টার আর ওয়ার্ড বয় মিলে।
সে এক দেখার মত দৃশ্য। পেইনের থেকে মুক্তি পেতে এত বড় রিস্ক নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। তবে ডাক্তার বন্ধু না বলে দিলে হাসপাতালে লোক দরজা খুলত না তা বুঝতে পারলাম ওয়ার্ড বয়ের কথায়। যদি বেঁচে থাকি তাহলে বন্ধুর এ দয়ার কথা চিরদিন মনে রাখব। রাতের বেলায় হাসপাতালে বলতে গেলে ডাক্তার নার্স স্টার্ফ কেউ থাকে না।
চিকিৎসা পেশায় থেকে রোগকে ভয় করা সত্যি অবাক করে দেয়। অথচ চট্টগ্রামের চিকিৎসা নিয়ে হম্বিতম্বির অন্ত নেই হাসপাতালের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের। জনগণও প্রতিবাদ করছে সঠিক সেবার আশায়। নিজের অসুস্থতার মাঝে মনে হচ্ছে এ কোন অদ্ভুত সময় পার করছি সবাই? চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। আর চিকিৎসক নার্সরা চিকিৎসা পেশায় আসে মানবসেবার ব্রত নিয়ে। কিন্তু দায়বদ্ধতা নেই কোথাও।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.