তারপরও তিনি আইনের ঊর্ধ্বে?

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০২০, ০৮:০০

তিনি একজন সাংসদ। সাংসদের কাজ আইন প্রণয়ন করা। যিনি আইন প্রণয়ন করেন, তিনি আইন ভাঙতে পারেন না। তিনি কেন, কোনো নাগরিকই আইন ভাঙতে পারেন না। ভাঙলে তাঁকে শাস্তি পেতে হয়। কিন্তু ঢাকা-১৪ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ আসলামুল হক আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কা না করে বুড়িগঙ্গার তীর দখল করে নিজের নিয়ন্ত্রণের রেখেছেন। বিআইডব্লিউটিএ সেই জায়গা উদ্ধার করতে গিয়ে প্রতিরোধের মুখ পড়েছে। কোন ক্ষমতাবলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাজে বাধা দিলেন। এর জন্য কি তাঁর কোনো শাস্তি হবে? বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সরকারি প্রতিষ্ঠান। তারা দীর্ঘদিন ধরেই বুড়িগঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজে আসছে না। অনেকটা সাপলুডু খেলার মতো। বিআইডব্লিউটিএ অভিযান পরিচালনা করে কোনো এলাকা উদ্ধার করার কিছুদিন পরই সেটি আবার দখল হয়ে যায়। এটাই আমরা গত ২০-২৫ বছর কিংবা তার আগে থেকে দেখে আসছি। সাধারণত যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের নেতা-কর্মী সাংসদেরা দখলোৎসবে মেতে ওঠেন। বুড়িগঙ্গায় দখল ও দূষণ বন্ধে প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছেন। উচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন। কিন্তু দখলদারদের উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। কেন হয়নি, তার প্রমাণ আমরা হাতেনাতে মঙ্গল ও বুধবার পেয়েছি। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সাংসদ আসলামুল হক বুড়িগঙ্গা তীরের ৫ একর জমি দখল করে রেখেছিলেন। গত মঙ্গলবার বিআইডব্লিউটিএ বুড়িগঙ্গা তীরে অভিযান চালিয়ে ৩ একর উদ্ধার করে লাল ফিতা টানিয়ে দিয়েছে। বাকি ২ একর জায়গা পুনরুদ্ধার করতে তারা সকাল ১০টায় অভিযান শুরু করে। প্রথমে লোকজন পাঠিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন; তাতে ব্যর্থ হয়ে ১১টার দিকে আসলামুল হক দলবল নিয়ে ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে সেই অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেন’।  দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের অটলতায় এই দফা আসলামুল হক ব্যর্থ হন। তবে খবরে প্রকাশ, নিজের বাংলোয় ডেকে নিয়ে ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে তিনি হুমকি দেন। ম্যাজিস্ট্রেট সেই তথ্য সংবাদমাধ্যমে দিয়েছেন। অচেনা নম্বর থেকে ফোনে হুমকিও পাচ্ছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও