জীবনের জন্য স্বাধীন শিক্ষা

দেশ রূপান্তর দীপু মাহমুদ প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৯

বেশ কিছুদিন আগের কথা। আমি গিয়েছি বান্দরবান। নোয়াপাড়া, পাহাড়ঘেরা গ্রাম। পাহাড়ের ঢালে মুদিখানার দোকান। সামনে বাঁশের মাচায় বসে আছি। আমার ভেতর কৌতূহল। মুগ্ধ চোখে দোকানিকে দেখছি। তিনি একজন আদিবাসী নারী। ভীষণ সাবলীল। ঠিকঠাক মতো সদাই মেপে দিচ্ছেন। টাকা-পয়সা গুনে নিচ্ছেন। খরিদ্দারের পাওনা ফেরত দিচ্ছেন। বাকিতে জিনিস নিলেন একজন। তিনি দিলেন। দোকানির কাছে ছোট খাতা আছে। সেই খাতায় তিনি বাকির কথা লিখে রাখলেন। আমার আগ্রহের কারণ আছে। আশপাশে কোনো ইশকুল নেই। এখানে পড়াশুনার ব্যবস্থা নেই শুনেছি। এই নারী কোথা থেকে, কীভাবে লেখাপড়া শিখেছেন! সেই ভাবনা আমাকে কৌতূহলী করেছে। তার কাছে জানতে চাইলাম। তিনি আমাকে অবাক করলেন। বললেন, তিনি কখনো ইশকুলে যাননি।


লেখাপড়া শেখেননি। দোকানির কাছে তার হিসাব লেখা খাতা দেখতে চাইলাম। তিনি দেখালেন। সেখানে কতগুলো সাংকেতিক চিহ্ন। তাই দিয়ে তিনি মানুষ চেনেন। কার কাছে কত বাকি বুঝতে পারেন। সেই চিহ্নগুলো ওই নারীর নিজস্ব আবিষ্কার। যেমন বড় একখানা পাথর আঁকা। সেটা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি। আবার গাছের চিকন ডাল এঁকে বুঝেছেন দিনমজুর।  আমার ভাবনায় জট পাকিয়ে গেল। তাহলে শিক্ষা কী? আমরা কী শিখছি? চট করে মনে হলো, শিক্ষা বলতে আমরা জ্ঞান অর্জন বুঝি। যেখানে কিছু বিমূর্ত চিহ্ন, সমীকরণ আর অভিজ্ঞতার কথা শিখি। কেউ শেখেন প্রতিষ্ঠানে। কেউ এই আদিবাসী নারীর মতো জীবনের প্রয়োজনে আবিষ্কার করেন নতুন পন্থা। প্রাতিষ্ঠানিক সেই শিক্ষা নির্দিষ্ট কাঠামোতে জীবন নির্বাহে ব্যবহৃত হয়। শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়ার কথা ছিল মানুষের মুক্তি, ভাবনার মুক্তি। জ্ঞান, দক্ষতার সঙ্গে মানসিকতা ও মূল্যবোধ সম্পর্কিত আচরণের পরিবর্তন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও