নয়া বন্দোবস্তের জমানায় রাজনীতিতে নারীর অবস্থান ফিকে হয়ে আসছে

জাগো নিউজ ২৪ শাহানা হুদা রঞ্জনা প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯

লেখাটা যখন প্রেসে দেয়ার জন্য তৈরি, ঠিক তখনই খবর পেলাম বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেছেন। একজন গৃহবধূ থেকে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন তিনি নিজের যোগ্যতা বলে। পরিবেশ, পরিস্থিতি, সমাজ তাঁকে নেত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছিল। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি তাঁর দল নিয়ে ছিলেন অত্যন্ত সক্রিয়। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।


এই বাংলাদেশে ১৯৯১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নারী নেতৃত্বে ছিলেন। অথচ এরপরেও একথা সত্য যে নারীরা রাজনৈতিক অঙ্গনে শক্ত অবস্থানে আসতে পারেনি। কিন্তু কেন? আমরা নারী উন্নয়নের কথা বলি, নারীকে এগিয়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখি। আদতে আমাদের সমাজের কতজন মানুষ নারীকে সত্যিকার অর্থে স্বনির্ভর দেখতে চান? কতজন নারী নিজেকে স্বাধীন ও স্বনির্ভর হিসেবে ভাবতে পারেন? পারিবারিক পরিমণ্ডলের বাইরের সমাজ নারীর নেতৃত্ব মেনে নিতে কতটা প্রস্তুত?


সবচাইতে সাম্প্রতিক উদাহরণ হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের আমল। এইসময়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যেসব সংস্কার কমিশন হতে দেখলাম, দেখলাম নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের মিটিং হতে, সেখানে কোথাও নারীর অবস্থান খুঁজে পাইনি। অথচ বিগত সরকার বিরোধী আন্দোলনে পুরুষদের পাশাপাশি অসংখ্য নারী রাজপথে আন্দোলন করেছেন, আহতও হয়েছেন অনেকে। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন শুধু পুরুষ আন্দোলনকারীরা। তাদের কার, কী যোগ্যতা ছিল বা তারা কতটা কাজ করতে পেরেছেন সে আলোচনায় না গেলেও বলা যায় জাতি আশাব্যঞ্জক কিছু পায়নি।


তবে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং খেলাটা দেখালো এনসিপি। দলটি জামায়াতে ইসলামির সাথে কেন জোটবদ্ধ হলো এ নিয়ে প্রেস কনফারেন্সে সব পুরুষ সদস্যরা পাশাপাশি বসে বয়ান দিলেন। সেখানে একজন নারী সদস্যেরও উপস্থিতি চোখে পড়লো না। এখন প্রতিদিনই দেখছি একজন করে নারী নেত্রী এনসিপি থেকে ঝরে পড়ছেন। মাত্র দেড় বছরের মধ্যে কী এমন ঘটলো যে মেয়েদের বের হয়ে আসতে হচ্ছে। কারো কোনো উচ্চকিত কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে না। অবশ্য অনেকে বলছেন হিসাব-নিকাশ শেষ তাই মেয়েরাই আর থাকতে চাইছেন না। সেই হিসাবটা কী আমরা জানি না, শুধু এটুকু জানি এদেশের রাজনীতিতে নারীর জায়গা করে নেয়া খুব সহজ নয়। ত্রিশ সেট অলংকার হিসেবে উঠে আসা সহজ কিন্তু সত্যিকার লড়াইয়ের ময়দানে নিজের দলই স্পেস দিতে চায় না।


বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীরা শীর্ষ পর্যায়ে থাকলেও সাধারণ নারী রাজনীতিবিদদের টিকে থাকা এবং স্থায়ীভাবে প্রভাবশালী হওয়া বেশ কঠিন। এর পেছনের কারণগুলোর দিকে দৃষ্টি দিলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে ২০২৪ এর আন্দোলনে নারীরা এত উচ্চকিত থাকার পরেও কেন চুপসে গেলেন।


এই সমাজ এখনও মনে করে রাজনীতি "পুরুষের কাজ”। নারীদের রাজনীতিতে আসা বা টিকে থাকাকে অনেকে "অনুপযুক্ত" বা "ঘরের বাইরে বেশি সময় কাটানো" হিসেবে দেখেন। পারিবারিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক চাপে অনেক নারী মাঝপথেই রাজনীতি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। যে নারীরা নির্বাচনে জিতেছেন বা টিকে আছেন, তাদের অধিকাংশেরই নিজস্ব বা পারিবারিক সম্পদ আছে। আছে পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও