জনসংখ্যার বৈচিত্র্য বনাম বৈষম্য
১১ জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’। প্রতিবছর এই দিনে জনসংখ্যাবিষয়ক কোনো একটি কেন্দ্রীয় প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়ে জনসচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে এ আলোচনায় আমরা অনেক সময় সংখ্যার ঊর্ধ্বগতির বিশ্লেষণে আটকে যাই। হারিয়ে যায় জনসংখ্যার মধ্যে থাকা বৈচিত্র্য ও সেই বৈচিত্র্যের অভ্যন্তরে বিরাজমান বৈষম্যের বাস্তবতা। জনসংখ্যার নির্দিষ্ট উপগোষ্ঠীগুলো ঠিক কতটা পিছিয়ে পড়েছে, কেন পড়েছে এবং এ বৈষম্য কীভাবে জনসংখ্যাভিত্তিক উন্নয়ন কৌশলকে বাধাগ্রস্ত করছে—এ বিষয়েও সম্যক ধারণা ও আলোচনা হওয়া উচিত।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৭ কোটি ৪০ লাখ। কিন্তু এ সংখ্যার ভেতর লুকিয়ে আছে অসংখ্য পরিচয়—গ্রামীণ-নগর, নারী-পুরুষ-বাইরের লিঙ্গ পরিচয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ-সংখ্যালঘু ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠী, সক্ষম-প্রতিবন্ধী, দারিদ্র্যসীমার ওপরে ও নিচে থাকা মানুষ, বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠী ইত্যাদি। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বিভাগ বলছে, ‘জনসংখ্যা কেবল জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার নয়, বরং কে কোথায় জন্মাচ্ছে, কেমন করে বেড়ে উঠছে, কোন সেবা পাচ্ছে আর কে পাচ্ছে না—এসবের সমষ্টি।’