You have reached your daily news limit

Please log in to continue


এশিয়ান কাপে মূলপর্বে মেয়েরা, আমরাও কী?

মিয়ানমারকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই প্রথমবার এশিয়ান কাপ মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই মেয়েরা এর আগে টানা দুইবার সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের এই অর্জন দেখে ভাববার কোনো কারণ নেই তাদের সঙ্গে গোটা বাংলাদেশ খেলেছে। এর পেছনে আমাদের সামষ্টিক কোনো অবদান নেই, যেটা হয়তো ছেলেদের ফুটবল বা ক্রিকেট আছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে কেন নেই, সেটাই ব্যাখ্যা করছি।

এই মেয়েরা প্রত্যেকে ফুটবল খেলতে এসে নানাভাবে সামাজিক হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এই যে মেয়েদের এত বাহবা দিচ্ছি, অথচ তারা খেলা শেষ করে ঘরে ফিরলে অনেক পরিবারই তাদের পুত্রবধূ করতে চায় না। নানা রকম কথার বানে তারা জর্জরিত হতে থাকে। কটূক্তির শিকার হতে হয়। শারীরিকভাবে হামলার শিকারও হয়েছেন! 

এর উপর আছে অভাব, অনিশ্চয়তা! মূল দলে খেলে মাত্র কয়েকজন, কিন্তু জাতীয় দলের বাইরে গেলেই ঠিকমতো মাইনে জোটে না, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও জোটে না স্পন্সর, স্টারডম। অনিশ্চয়তা থেকে বিয়ের কথা গোপন করে পেটে সন্তান নিয়েও খেলেছেন সাফজয়ী রাজিয়া। পরে সন্তান জন্ম দিয়ে রক্তক্ষরণে মারা গেছেন তিনি।

মনে পড়ে ২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে সানজিদা ফেসবুকে লিখেছিলেন: ‘ফাইনালে আমরা একজন ফুটবলারের চরিত্রে মাঠে লড়ব এমন নয়, এগারোজনের যোদ্ধাদল মাঠে থাকবে, যে দলের অনেকে এই পর্যন্ত এসেছে বাবাকে হারিয়ে, মায়ের শেষ সম্বল নিয়ে, বোনের অলংকার বিক্রি করে, অনেকে পরিবারের একমাত্র আয়ের অবলম্বন হয়ে।’

ছেলেদের ক্রিকেট/ফুটবলে প্রতিটা থানা থেকে খেলোয়াড় উঠে আসে। তেমনটি কিন্তু এই মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘটেনি। গোটা দেশ তো দূরে থাক, নারী ফুটবল দলের অধিকাংশ ফুটবলারই প্রায় একটি গ্রাম থেকে আসা। গারো পাহাড়ের পাদদেশ থেকে উঠে এসেছে একদল ফুটবল কিশোরী।

২০২২ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের পাঁচ খেলোয়াড়ই ছিল রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের। তার মানে ভাবার কোনো অবকাশ নেই প্রতিযোগিতা কম বলে অযোগ্যরা জাতীয় দলে খেলছে। গত সাফে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা চাকমা। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়া সেরার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি।

গত ম্যাচেও মিয়ানমারের বিপক্ষে দুটি গোল করেছেন তিন। সাফে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা গোলকিপার হয়েছিলেন রূপনা চাকমা। বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে চোখ ধাঁধানো গোল করে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফার তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছেন মনিকা চাকমা।

বাংলাদেশের প্রথম ফিফা নারী রেফারি হয়েছেন জয়া চাকমা। বাংলাদেশের প্রথম কোনো সংগঠক হিসেবে ফিফার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।

মূলত নারী ফুটবলে বাংলাদেশকে জাতীয়ভাবে প্রতিনিধিত্ব করছে পাহাড়ি মেয়েরা। মাঠে আদিবাসী, বাঙালি, হিন্দু, মুসলিম মিলে চমৎকার সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে ওরা, হারিয়েছে ভারতের মতো বৃহত্তর রাষ্ট্রের একটি দলকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন