কোন পথে বাংলাদেশ:২- অন্তর্বর্তী দ্বিধা ও বহুত্বের ফাঁদে রাজনীতি

বিডি নিউজ ২৪ সাঈদ ইফতেখার আহমেদ প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২৫, ১৩:৫৪

প্রথমদিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিজেদের সরকার বললেও দিন যতই গড়াতে থাকে, বিএনপি সরকারের সঙ্গে নিজেদের দূরত্ব তত বেশি অনুভব করা শুরু করে। বিএনপির নেতাকর্মীদের সামনে সরকারের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়।


সরকার কী চাচ্ছে, বা কোনদিকে দেশকে নিয়ে যেতে চায়, অথবা সরকারের স্বরূপ কী—এ বিষয়টগুলো শুরু থেকেই বিএনপিসহ অনেকের কাছেই পরিষ্কার নয়। ফলে, এ অবস্থায় তাদের করণীয় কী, এটা নিয়ে এক ধরণের সংশয় তৈরি হয়। লন্ডনে ইউনূস-তারেক বৈঠকের পর রাতারাতি এ দ্বিধা-সংশয় দূর হয়ে গেছে সেটা বলা যাবে না।


বিএনপি সমর্থক শহুরে মধ্য ও উচ্চবিত্তের একটা অংশ এনসিপির প্রতি সহানুভূতিশীল বলে মনে হচ্ছে। দলটির সমর্থকদের আরেকটি অংশ ইসলামবাদের লেন্স দিয়ে রাজনীতি ব্যাখ্যা করেন। ইসলামবাদী দলগুলোর প্রতি তাদের বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। অবশ্য সংখ্যার বিচারে বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে তারা নগণ্য—যদিও অনেক সময় তাদের রাজনৈতিক ব্যাখ্যা দলের সাধারণ কর্মী সমর্থকদের ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।


আওয়ামী লীগ সরকার পতনের প্রথম দিকে বিএনপির ওপর মানুষের যে আস্থা পরিলক্ষিত হয়েছিল, গত ১০ মাসে তার অনেকটা নষ্ট হয়েছে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের নানাবিধ অপরাধমূলক কার্যকলাপ, হাট-বাজার-ঘাট, ঘের, ব্যবসা-বাণিজ্যকেন্দ্র দখলসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে পদ-পদবি বাগিয়ে নেওয়ার মতো নানান কিছুর ফলে। দলটির মাঝে স্বার্থকেন্দ্রিক উপদলীয় আন্তঃকোন্দল প্রবল—যেটা এমনকি বিভিন্ন জায়গায় প্রাণঘাতী সংঘাতে পর্যন্ত রূপ নিয়েছে।



বিএনপির চেইন অব কমান্ড ৫ অগাস্টের পর দুর্বল হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষে মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা দুরূহ হয়ে উঠেছে। এমন একটি দলের পক্ষে কোন আন্দোলন গড়ে তোলা প্রায় অসম্ভব—বিএনপির বর্তমান অবস্থা জনমানসে এ বার্তাই দিচ্ছে।


বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর বিপরীতে এনসিপি তো বটেই, জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামবাদী আরও কোনো কোনো দল ও সংগঠন অধ্যাপক ইউনূসের সরকারকে নিজেদের সরকার মনে করে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতীয়মান। তাদের কর্মী, সমর্থকদের আচরণ, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, বক্তব্য এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত নানাবিধ পোস্টের কারণে জনমানসে এ ধারণা জন্মলাভ করেছে। এখন অবশ্য উল্টো হাওয়া বইতে শুরু করেছে, এই দল দুটি ইউনূসের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ আনতে শুরু করেছে।


ইসলামবাদীদের উপলব্ধি হলো, বর্তমান সময়ে তারা যতটা মুক্ত পরিবেশে, স্বাধীনভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন, সেটা স্বাধীন বাংলাদেশে এর পূর্বে কখনও সম্ভব হয়নি। তাদের কারো কারো আশঙ্কা, নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হলে তাদের আজকের যে অবস্থান, সেটা ব্যাহত হতে পারে।


ইসলামবাদীদের সম্পর্কে জনমানসে এমন একটা ধারণা গড়ে উঠছে যে, তারা নির্বাচনকে কিছুটা প্রলম্বিত করতে চায়। নির্বাচন যত দেরিতে হবে, জনগণের সামনে বিএনপির ভাবমূর্তি ততই ক্ষুণ্ণ হবে, যেটা তাদেরকে আখেরে রাজনৈতিক সুবিধা দিবে–অনেক ইসলামবাদী এমনটাই মনে করেন। এমনটা নবগঠিত এনসিপির ভাবনা বলেও সাধারণ মানুষ মনে করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও