You have reached your daily news limit

Please log in to continue


লালমনিরহাট বিমানবন্দর সচল প্রচেষ্টা ও ভারতের রেড সিগন্যাল

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুততর করার ক্ষেত্রে একটি সুখবর রয়েছে। আর সেটি হলো, অবশেষে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার লালমনিরহাট বিমানবন্দর সচল করছে। এ খবরটি জানিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম উদ দৌলা। ২৬ মে সেনাসদরে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার নাজিম-উদ-দৌলা এ তথ্য প্রকাশ করেন। মাসপাঁচেক আগে থেকেই লালমনিরহাট বিমানবন্দর সচল করার ব্যাপারে সামাজিকমাধ্যমে অনেক লেখা পড়েছি। আপলোড করা হয়েছে অনেক ভিডিও। তখন থেকেই আমার এ বিষয়ে লেখার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো কনফারমেশন না আসায় লেখা সংগত মনে করিনি। অবশেষ সেই কনফারমেশন এসেছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রিগেডিয়ার নাজিম উপরিউক্ত তথ্য প্রকাশ করেন।

জনৈক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, লালমনিরহাট বিমানবন্দর নিয়ে অতীতে অনেক টানাপোড়েন ছিল। এখন ওই বিমানবন্দরের কী অবস্থা? সাংবাদিক আরও বলেন, চীন ও ভারতের মধ্যে এ বিমানবন্দর নিয়ে টানাপোড়েনে আছেন। জবাবে ব্রিগেডিয়ার নাজিম বলেন, দেশের সম্পদ দেশের প্রয়োজনে ব্যবহার হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। এতদিন প্রয়োজন হয়নি, ব্যবহার হয়নি। এখন প্রয়োজন পড়েছে, ব্যবহার হচ্ছে। নতুন করে সংস্কার করা হচ্ছে। কলেবর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সেখানে নতুন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে।

চীন ওই বিমানবন্দর ব্যবহার করবে কি না, এ বিষয়ে নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার কাছে নেই। তিনি মনে করেন, দেশের নিরাপত্তা বা স্বার্থ বিঘ্নিত হয়, এরকম কোনো দেশকে অনুমতি দেওয়ার বা সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে নিশ্চয়ই সরকার ভেবে দেখবে।

সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এ তথ্য প্রকাশের পরপরই ভারত তড়িৎ গতিতে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ২৮ মে এক বাংলা সহযোগীর অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ লালমনিরহাটে বিমানবন্দর চালু করলে ‘পালটা ব্যবস্থা’ নেবে ভারত। লালমনিরহাটে বিমানবন্দর চালু করার ঘোষণার পর ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহরের পুরোনো একটি বিমানবন্দর সংস্কারের কাজ শুরু করেছে দেশটি। এ বিমান ঘাঁটিটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত এটিকে ব্যবহার করেছে।

কৈলাশহর বিমানবন্দর বেসামরিক কাজে ব্যবহৃত হলেও ধারণা করা হচ্ছে-যুদ্ধকালীন ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলোকে উড্ডয়ন, অবতরণ এবং জ্বালানি ভরার সুযোগ করে দেওয়ার সুবিধাযোগ্য করে তোলা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিশেষ এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম অনলাইন ‘এনডিটিভি’। এতে বলা হয়, চীনের সহযোগিতায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার লালমনিরহাটে অবস্থিত একটি বিমান ঘাঁটি আবারও চালু করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ, যেটি রংপুর বিভাগে অবস্থিত; যা ভারতীয় প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের লোকদের কাছে উদ্বেগের বার্তা দিয়েছে।

তারা মনে করছে, লালমনিরহাটের বিমানঘাঁটিটি আবারও সক্রিয় করার ফলে আক্ষরিক অর্থেই দিল্লির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে বেইজিং। কেননা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ওই বিমানঘাঁটির দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। এছাড়া শিলিগুড়ি করিডর থেকেও লালমনিরহাটের দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। এটি মাত্র ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত ভূমি নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এ করিডরটি চিকেন নেক নামেও পরিচিত। যার পশ্চিমে নেপাল এবং উত্তরে ভুটানের সীমান্ত রয়েছে।

২.

খবর রটেছে, চীনের সহযোগিতায় লালমনিরহাট বিমানবন্দর আবারও চালু হতে যাচ্ছে। প্রবাদ চালু রয়েছে, জন্ডিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নাকি সবকিছুই হলুদ দেখে। প্রবাদটি সত্য হোক আর না হোক, ভারতের বেলায় এটি একশত ভাগ সত্য। বাংলাদেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা আন্তর্জাতিক যে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করুক না কেন, তার সবকিছুর মধ্যেই ভারত হয় পাকিস্তান, না হয় চীনের ভূত দেখে। লালমনিরহাটেও তারা তাদের স্বভাবসুলভ ভূত দেখতে পাচ্ছে। আর সেটি হলো চীন। ভারতের এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, চীনের সহযোগিতায় এ বিমানবন্দর চালু হলে সেখানে নাকি চীন তাদের সামরিক সরঞ্জাম, জঙ্গিবিমান, রাডার ও নজরদারির সরঞ্জামসহ বিভিন্ন কৌশলগত যন্ত্রপাতি রাখতে পারে। সেই ভয় থেকেই তারা তাৎক্ষণিকভাবে ত্রিপুরার কৈলাশহরে তিন দশকের পুরোনো একটি বিমানবন্দরের সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। এনডিটিভির মতে, এটি বাহ্যিকভাবে বেসামরিক বিমানবন্দর হলেও জরুরি অবস্থায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর জঙ্গিবিমানের উড্ডয়ন ও অবতরণ এবং জ্বালানি ভরার সুযোগ থাকবে এ বিমানবন্দরে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন