জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পরিবর্তন এবং প্রত্যাশা

জাগো নিউজ ২৪ অধ্যাপক আব্দুল বায়েস প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৫, ১২:২২

যত্রতত্র চায়ের কাপে বাতাস তুলছে সম্প্রতি সংগৃহীত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশের পাওয়া শর্তযুক্ত ঋণ সুবিধা। মোট পরিমাণ ৪৫০ কোটি ডলার। তুম ভি খোশ, হাম ভি খোশ– তুমি আর আমি নাচি আনন্দে। আইএমএফ খুশি, আমরাও খুশি । এক সময় ছিল যখন আইএমএফ কিংবা বিশ্বব্যাংকের শর্তযুক্ত ঋণ সুবিধা চায়ের কাপে রীতিমতো ঝড় তুলত– মিছিলমিটিং তো ছিলই। এখন তেমনটি নেই আছে উশখুশ- একটুআধটু আলোচনা -সমালোচনা । তবে শেষ কিস্তিতে কিস্তি দিয়ে বাজিমাত করলো আই এম এফ – আপাতত বাংলাদেশ ধরাশায়ী। কারণ , সরকারি কথাবার্তায় মনে হচ্ছে এ যেন জোর করে ঢেঁকি গেলানো ।


গল্পটা অবশেষে অরিন্দম কহিলা বিষাদের মতোই – বাংলাদেশ আইএমএফ এর শর্ত গিলতে বাধ্য হল। শর্ত দুটো হল (ক) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে আপেক্ষিক সুবিধার ভিত্তিতে আলাদা করা এবং (খ) বৈদেশিক বিনিময় হারকে বাজার-ভিত্তিক করা। তার মানে, ডলারের দাম নির্ধারিত হবে বাজারে ডলারের চাহিদা এবং যোগানের সেতুবন্ধনে। অবশ্য কদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আমাদেরকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, দরকার হলে আই এম এফ এর ঋণের কিস্তি নেব না তবুও কঠিন শর্তের কাছে মাথা নোয়াবো না। তারও আগে বলেছিলেন টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক বাঁচাবো না কিন্তু তাই করতে হয়েছে বা করা ছাড়া উপায় ছিলও না গোলাম হোসেন!


প্রথম শর্তের প্রেক্ষাপট জানা দরকার। অভিযোগ আছে যে, প্রায় পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠিত এনবিআর কখনোই তাদের রাজস্ব লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। বর্তমানে বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত প্রায় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা এশিয়ায় সর্বনিম্নের মধ্যে , বৈশ্বিক গড় ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ এর অর্ধেকেরও কম । শুধু তাই নয়, এই অনুপাতটি গেল এক দশক কিংবা তারও বেশি সময় ধরে একই অবস্থানে অথচ এরই মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশের মধুচন্দ্রিমা উপভোগের জন্য আয়োজনের তোড়জোড়। যাই হোক, অর্থনীতির বিজ্ঞজন বিশেষত ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি বলছে দেশের উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণে এই অনুপাত কমপক্ষে ১০ শতাংশে উন্নীত করা জরুরি।


কিন্তু গোল বাঁধায় রাজস্ব বোর্ডের প্রশাসনিক ও বাস্তবায়ন ক্ষমতা একই বিন্দুতে থাকবার ফলে এক ধরনের অদক্ষতার জন্ম দিয়ে দুর্নীতিকে আলিঙ্গন করা। বর্তমান, কিছুটা বিতর্কিতও, সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য নাকি কর নীতিনির্ধারণ ও কর প্রশাসনকে আলাদা করা যাতে দক্ষতা বাড়ানো যায়, স্বার্থের সংঘাত কমানো যায় এবং দেশের করভিত্তি বিস্তৃত করা যায়। “এনবিআরের কাঠামোগত সংস্কার এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ। একটি প্রতিষ্ঠানকে একই সঙ্গে নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিলে স্বার্থের সংঘাত ও অদক্ষতা তৈরি হয়। এটি একটি প্রতিষ্ঠিত মত।”


দুই.
এ বিষয়ে মতামত দেবার পূর্বে জাগো নিউজ এক প্রতিবেদনে রাজস্ব বোর্ডের সমস্যা চিহ্নিত করেছে যা হুবহু পাঠকদের জন্য পেশ করা যায়-


(ক) দীর্ঘদিনের সমস্যা


স্বার্থের সংঘাত


নীতিনির্ধারণ ও কর আদায় একই ছাতার নিচে থাকায় নীতিগুলো অনেক সময় দুর্বল হয়েছে এবং অনিয়ম ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে যারা কর আদায় করছেন, তাদের জন্য কোনো কার্যকর জবাবদিহি নেই। কর ফাঁকি দেওয়া করদাতাদের সঙ্গে তারা অনেক সময় ব্যক্তিগত স্বার্থে সমঝোতায় যান। কর কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা পরিমাপের কোনো নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নেই এবং তাদের পদোন্নতি বা মূল্যায়নও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে হয় না।


অদক্ষ রাজস্ব আদায়


একই সংস্থার নীতি ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকায় দুই ক্ষেত্রেই মনোযোগ বিঘ্নিত হয়েছে। ফলে করের আওতা সংকীর্ণ রয়ে গেছে এবং সম্ভাবনা মতো রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়নি।


দুর্বল শাসনব্যবস্থা


এনবিআরের এনফোর্সমেন্ট ছিল খামখেয়ালি, বিনিয়োগ সহায়তায় ছিল ঘাটতি এবং পুরো ব্যবস্থায় ছিল শাসনসংক্রান্ত ত্রুটি। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমেছে এবং আইনের শাসন দুর্বল হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও