You have reached your daily news limit

Please log in to continue


স্থানীয় সরকার নিয়েই মানুষ বেশি চিন্তিত

আবু (আবু জামাল রেজা) ক্লাস এইট পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে ছিল। এক অজানা কারণে তাড়াহুড়ো করে গরমের ছুটির মধ্যেই টিসি নিয়েই মেহেরপুরের গাংনী চলে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডে (তখন ওয়াপদা বলা হতো) কাজ করতেন আবুর মামা। মামার কাছে থেকেই গল্পের ‘ফটিকের’ মতো আমাদের চৌকস বন্ধু পড়াশোনা করত। আবু নিজেই নিজের নাম রেখেছিল ফটিক। রবীন্দ্রনাথ তার ছিল মুখস্থ।

পরে জেনেছিলাম, ওর মামার চাকরিটা হঠাৎ করেই নট হয়ে যায়। পশ্চিম পাকিস্তানি বসের গায়ে হাত তুলতে যাওয়ার অভিযোগে। বসই তাঁকে ভয়ংকর (গালি) কিছু বলে উত্ত্যক্ত করেছিলেন। সেটা কেউ শোনেননি; কিন্তু তেড়ে মারতে যাওয়ার পক্ষে অনেক সাক্ষী ছিল। একদম জিনেদিন জিদান (ফরাসি ফুটবলার) মামলা।

জিদানকে দেওয়া মা–বোন তুলে গালিটা কেউ দেখেননি; কিন্তু তাঁর ঢুসটা সবাই দেখেছিলেন। শাস্তি হয়েছিল জিদানের, কিছু হয়নি উত্ত্যক্তকারীর। যা–ই হোক, আবু তার বিধবা মায়ের কাছে গ্রামে ফেরত গেলেও আমাদের চিঠি দেওয়া–নেওয়া চলত। তখনকার দিনে পেনফ্রেন্ড বলে একটা কথা চালু ছিল। আমরা ক্রমে ক্লাসফ্রেন্ড থেকে পেনফ্রেন্ড হয়ে উঠলাম।

১৯৬৯ সালের এপ্রিলে আবুর চিঠিতে জানতে পারি, ‘পাকিস্তান দেশ কৃষ্টি’ একটি অতিরিক্ত বই আমাদের পড়তে হবে। পূর্ব পাকিস্তানিদের খাঁটি পাকিস্তানি বানানোর আইয়ুবি খায়েশ তখন ইয়াহিয়া বাস্তবায়ন করছেন। বইয়ের একটা মলাট পাঠিয়েছিল পরের চিঠিতে। দেশে তখন ইয়াহিয়ার মার্শাল ল। সিনেমার টিকিট হাফ করে দিয়ে ছাত্রদের মনজয়ের চেষ্টা করছেন ইয়াহিয়া। ছাত্র আন্দোলনের মুখে আইয়ুব শাহির পতন হয়েছে মাত্র (২৫ মার্চ, ১৯৬৯) এর মধ্যে আবার নতুন চক্রান্ত!

ক্লাস নাইনের আবু বুঝে ফেলে, পাকিস্তানিদের এই নতুন চক্রান্ত ছাত্রদের একাই রুখতে হবে। ইয়াহিয়ারা যে নির্বাচনের হালুয়ার–রুটির মৌতাত ছড়িয়েছে, তাতে রাজনৈতিক দলগুলো এখন শুধু নির্বাচনের জিকিরই করবে। অন্য কোনো আন্দোলন করে নির্বাচনের চাঁদকে তারা মেঘের আড়ালে ফেলে দেওয়ার ঝুঁকি নেবে না। শেষ পর্যন্ত স্কুলের পথে নামে কিশোরেরাই এককভাবে সারা দেশে। সেটাই ছিল কিশোর নেতৃত্বের প্রথম আন্দোলন।

আবুর নেতৃত্ব ছিল দেখার মতো। তখনকার প্রধান রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলোর একটাও (ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্র সংঘ) সেদিন স্কুলের কিশোরদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। উনসত্তরের গণ–অভ্যুত্থানের পরপরই কিশোরদের সেই আন্দোলন সামরিক শাসকেরা থামাতে চাইলেও পারেনি। জুন, ১৯৬৯-এ দেশ ও কৃষ্টি বই পাঠ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। আবু অনেক আগে থেকেই পরিস্থিতি বুঝতে পারত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন