
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এবং ‘জাতীয় নাগরিক কমিটির’ উদ্যোগে এবং নানা মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ নামে একটি নতুন দল আত্মপ্রকাশ করেছে। এ নতুন দলটির আবির্ভাব বহু প্রত্যাশিত ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি প্রকাশ্য অনাস্থা এবং তাদের দাবি-দাওয়ার প্রতি দেশের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর কথিত নিস্পৃহতার কারণে।
গত ৫ আগস্টের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ নেতৃত্বের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোকে অবজ্ঞা ও তাদের অবদানকে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রথম বিভক্তির সূচনা হয়। অবশ্য এদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এটি ঘটাই যে নিয়তি ছিল, তা বলা চলে। কারণ, গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের স্বাধীনতাসহ সব অর্জনকে একটি রাজনৈতিক দলের আত্মসাৎ করার ইতিহাস আমাদের চোখের সামনেই ঘটেছে। এদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ‘উইনার টেকস অল’ বিষয়টি প্রায় প্রতিষ্ঠিতই বলা যায়। সে কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের আলাদাভাবে দোষারোপ করার সুযোগ খুবই কম। যা হোক, এ নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে একটি প্রতীক্ষার অবসান হলো। একইসঙ্গে একটি দলীয় কাঠামোর মধ্যে আসার কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা তাদের বক্তব্যের ক্ষেত্রে এখন থেকে অনেক হিসাবি হবেন, এটা প্রত্যাশা করাই যায়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- রাজনৈতিক দল