সংসদীয় গণতন্ত্র নাকি ‘মৌলিক গণতন্ত্রের’ পুনঃপ্রবর্তন

প্রথম আলো অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৫, ২১:৩৭

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে যেসব প্রস্তাব বা সুপারিশ করা হয়েছে তাতে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলের অপশাসনের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো, এসব সুপারিশের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদকেই একেবারে ‘গৌণ’ করে ফেলা হয়েছে। অথচ সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। শুধু বিগত সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহারকে দৃষ্টান্ত হিসেবে ধরে সংবিধান পরিবর্তনের প্রস্তাব কতটুকু যুক্তিসংগত, তা ভেবে দেখা দরকার।


সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে; এটা শুধু বাংলাদেশেই নয়, ব্রিটেনের অনুকরণে যেসব দেশ সংসদীয় সরকারব্যবস্থা চালু করেছে, প্রায় প্রতিটি দেশেই এ প্রবণতা বিদ্যমান।


এমনকি খোদ ব্রিটেনেই প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে ১৯৬০-৭০-এর দশকে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল এবং অনেকেই ব্রিটেনের সরকারকে মন্ত্রিপরিষদশাসিত সরকারের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীশাসিত সরকার হিসেবে অভিহিত করেছেন।



ব্রিটেনের মতো অন্যান্য দেশে যেমন অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হ্রাস এবং তাকে অধিকতর জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবেশী ভারতেও প্রধানমন্ত্রীকে অন্যদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে হয়। এ জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যেসব কমিটি গঠন করা হয়, তাতে সরকারের অন্যান্য বিভাগ ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব থাকে। লক্ষণীয়, কোনো ব্যক্তির সঙ্গে নয়, বরং সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টির জন্য—এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।


কমিশনের প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে নির্বাহী কর্তৃত্বের ভাগাভাগি এবং প্রধানমন্ত্রীকে ‘কম গুরুত্ব’ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী যাতে কোনোভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারে, সে জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা সুপারিশ করা হয়েছে। এটা শুধু সংসদীয় রীতিনীতি-বহির্ভূতই নয়, অসাংবিধানিকও বটে। প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারপ্রধান হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত করা হয়েছে; তাঁকে অন্যদের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও