
রাজনৈতিক আন্দোলনের চেয়ে এখন জরুরি সাংস্কৃতিক আন্দোলন
স্বাধীন বাংলাদেশে জেলা মাগুরার নাম দুই দুইবার ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ হয়েছে। প্রথমবার হয়েছিল ১৯৯৪ সালে মাগুরা-২ উপনির্বাচনের সময়। ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল এবং এই কারচুপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল। দ্বিতীয়বার এই সেদিন, জেলাটির নাম উঠে এলো মুখে মুখে। এই জেলারই ৮ বছর বয়সি আছিয়া এখন যৌন নিপীড়নের প্রতীক যেন। এর মানে অবশ্য এই নয় যে, আছিয়ার মতো অথবা তার চেয়ে বেশি নিপীড়িত হয়নি আর কোনো শিশু।
গত রেজিমে আমরা ৩ বছরের শিশুকেও ধর্ষণের শিকার হতে দেখেছিলাম। আছিয়া যে প্রতীক হয়ে উঠলো, এর কারণ ঘটনাটা ক্লিক করে গেছে। কখনো কখনো একটি ঘটনায় ক্লিক করার অনেক শর্ত থাকলেও তা ক্লিক করে না, আবার কোনো কোনো ঘটনায় অপেক্ষাকৃত কম শর্ত থাকলেও সেটা ক্লিক করে যায়। শেষেরটির ক্ষেত্রে কিছু রাজনৈতিক ও সামাজিক ফ্যাক্টর যুক্ত হয়। যেমন, রিমি হত্যা কিংবা দিনাজপুরের ইয়াসমিন হত্যার চেয়েও রোমহর্ষক ঘটনার উদাহরণ রয়েছে দেশে; কিন্তু ওই দুটি হত্যার সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামাজিক ফ্যাক্টর যুক্ত হওয়ায় তা দেশব্যাপী আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছিল। আছিয়ার ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। এই শিশুর ওপর যৌন নিপীড়ন এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন দেশব্যাপী চলছে একের পর এক ধর্ষণ অথবা যৌন হয়রানি। সরকারবিরোধীরা আছিয়াকে পিক করেছে সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করতে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- রাজনৈতিক দল
- সামাজিক আন্দোলন