স্বাগতম মাহে রমজান: আলোকিত হোক অন্তরাত্মা

জাগো নিউজ ২৪ মাহমুদ আহমদ প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৭

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র মাহে রমজান। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অপার কৃপায় বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ আরো একটি রমজান মাস লাভ করতে যাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ।


আল্লাহপাক যাদেরকে রোজা রাখার সৌভাগ্য দিবেন তাদের উচিত হবে রোজার দিনগুলো বিশেষ ইবাদতে রত থেকে অতিবাহিত করা এবং রমজান শেষেও তা ধরে রাখা।


পবিত্র রমজান মানুষের আধ্যাত্মিক জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটায় আর অন্তরাত্মা হয় আলোকিত। মুমিন বান্দারা আল্লাহপাকের সন্তুষ্টির লক্ষ্যে রমজানের রাতগুলো ইবাদতে রত থেকে অতিবাহিত করে। অপরদিকে রমজান আসলেই একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মওজুদ রেখে অধিক মুনাফা অর্জনের খেলায় মত্ত হয়ে যায়।


গরীব-অভাবী মানুষদের প্রত্যাশা থাকে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকলে তারা নির্বিঘ্নে রমজান পালন করতে পারেন। বিশ্বের অনেক দেশেই রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হয়। কিছু কিছু দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমিয়েও দেয়া হয় যেন রোজাদাররা নির্বিঘ্নে প্রশান্তি সহকারে সিয়াম সাধনার সুযোগ পান।
ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে মুনাফা করবেন তা খুবই স্বাভাবিক কিন্তু রমজান মাসে ভোক্তাদের বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে অতিমুনাফা করবেন তা গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা।



আমাদের দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। দেখা যায় রমজান শুরু হওয়ার ক’দিন পূর্ব থেকে বাজারে যেন আগুন লেগে যায়। দ্রব্যমূল্যের দাম এত বেড়ে যায় যে, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।


রোজার মাস এলেই দেখা যায়, ইফতার সামগ্রীসহ বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আচমকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অথচ রমজান মাস ছাড়া বছরের অন্যান্য মাসগুলোতে এ সকল খাদ্য দ্রব্যের দাম অনেকটা সহনীয় পর্যায় কিংবা মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই থাকে। ব্যতিক্রম ঘটে কেবল রমজান মাসে। অধিক মুনাফালোভীরা তাদের গুদামে রমজান মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু খাদ্যদ্রব্য অবৈধ, অনৈতিকভাবে মওজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতেও দেখা যায়। যদিও এদের সংখ্যা কম কিন্তু বাজার ব্যবস্থাকে এই কমসংখ্যক লোকই নিয়ন্ত্রণ করছে।


ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যবসা-বাণিজ্য অন্যতম সম্মানজনক কাজ। কিন্তু অবৈধ মজুদদারির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা নিষেধ। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করে অস্বাভাবিক ও অধিক মূল্যে বিক্রি করার জন্য গুদামজাত করে রাখাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘ইহতিকার’ বা মজুদদারি বলা হয়। যে-সব জিনিস আটকিয়ে রাখলে বা মজুদ করলে সর্বসাধারণের সীমাহীন কষ্ট ও ক্ষতি হয়। হজরত নবি করিম (সা.) বলেছেন, ‘মজুদদার খুবই নিকৃষ্টতম ব্যক্তি; যদি জিনিসপত্রের দাম হ্রাস পায় তাহলে চিন্তিত হয়ে পড়ে, আর যদি মূল্য বেড়ে যায় তাহলে আনন্দিত হয়’ (মিশকাত)।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও