রাজনীতির দেহে কেন সন্দেহের ভাইরাস

প্রথম আলো সারফুদ্দিন আহমেদ প্রকাশিত: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪২

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঐক্য অসম্ভব নয়; তবে অতি বিরল। কারণ রাজনীতি আর সন্দেহ মাসতুতো ভাই। এই দুই জিনিসের একটিকে ছাড়া অপরটি চলতে পারে না।


যেখানেই রাজনীতি, সেখানেই সর্বগ্রাসী বন্যার মতো পারস্পরিক বিশ্বাসের বাঁধ ভেঙেচুরে সন্দেহ ঢুকে পড়ে।


আর সন্দেহ করোনার চেয়ে দ্রুত গতিতে সংক্রমিত হয়ে একটি জাতির সবচেয়ে দামি ঐশ্বর্য জনঐক্যকে উইপোকার মতো ভেতর থেকে কেটে কেটে ঝাঁজরা করে দেয়।


দেশের মানুষ ঐক্যের ঐতিহাসিক স্বাদ পেয়েছিল ১৯৭১ সালে। এরপর তারা ১৯৯০ সালে আরেকবার এই স্বাদ পেয়েছে।


তবে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট জন-ঐক্যের উদ্দাম আনন্দ নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী ঐক্যের আনন্দকেও বহুগুণ ছাপিয়ে গিয়েছিল।


জুলাই-আগস্টে ডান-বাম, উঁচু-নিচু, ধনী-গরিব, তরুণ-বৃদ্ধ, নারী–পুরুষ, আস্তিক-নাস্তিক—সব রাজপথে নেমেছিল।


ফ্যাসিবাদী সরকার এমন একটি সংকট জাতির সামনে এনেছিল যে, সব পথ এক পথে মিলেছিল।


এক অবিস্মরণীয় ঐক্যের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ‘আমরা সহস্র পথের চৌমাথার উপরে দাঁড়াইয়া’ ছিলাম। ফ্যাসিবাদী সরকারের সুবিধাভোগী একটি অংশ বাদে গোটা জাতি এক হওয়ার আনন্দে মেতে উঠেছিল।



জনতার ঐক্যে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। জনতার ঐক্যের হাত ধরে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু ঐক্য বস্তুটাই যেহেতু প্রায়শই কর্পূরের মতো ক্ষণস্থায়ী এবং প্রসঙ্গটি যেহেতু রাজনীতির, সেহেতু রাজনীতির মাসতুতো ভাই সন্দেহ ঠিকই ঢুকে পড়েছে এবং ইতিমধ্যে ঐক্য মিইয়ে গেছে।


সন্দেহ, সংশয় ও অবিশ্বাসের একটা ঘন ধুম্রকুণ্ডলী দেশের রাজনীতির আকাশকে আবারও আচ্ছন্ন করে ফেলছে।


অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিকে জানিয়েছিলেন, এই রক্তস্নাত অভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে সংস্কার করা হবে। যৌক্তিক পর্যায়ের সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া হবে।


বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলগুলো এ নিয়ে তখন আপত্তি তোলেনি। সংস্কার প্রশ্নে কারও কারও আপত্তি থাকলেও সে আপত্তিতে তখন বিরোধিতার দ্যোতনা ছিল না।


এরপর সন্দেহ সক্রিয় হতে শুরু করল। কিছুদিন গড়াতে না গড়াতেই সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার দিনক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল। বিএনপির দিক থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দেওয়ার উঠতে শুরু হলো


সেই দাবি এখন শুধু প্রবলই হচ্ছে না। বিএনপি যাতে ক্ষমতায় যেতে না পারে সে জন্য বিভিন্ন মহল থেকে চক্রান্ত চলছে বলেও তারা অভিযোগ করা শুরু করেছে।


একটি সংবাদমাধ্যমের খবরের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে: ‘ “আওয়ামী লীগের পর বিএনপিকেও মাইনাসের ষড়যন্ত্র চলছে”—বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেতারা’।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও