পাকিস্তানে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি আসবে কবে?

ঢাকা পোষ্ট পাকিস্তান ড. ফরিদুল আলম প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৪

পাকিস্তান পরিস্থিতি ভালো যাচ্ছে না। কিছুদিন ধরে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সরকারবিরোধী অবস্থান সহিংস পরিস্থিতিতে রূপ নেওয়ার পর এবং সরকারের পক্ষ থেকে দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের পর হঠাৎই ইমরান খানের মুক্তি ছাড়া আন্দোলনের মাঠ না ছাড়তে ঘোষণা দেওয়া পিটিআই পিছু হটেছে।


তাদের পক্ষ থেকে সাময়িক সময়ের জন্য আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ব্যাপক দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সরকার রাজধানী ইসলামাবাদকে কসাইখানায় রূপান্তর করতে চেয়েছে।’ এই যুক্তি দিয়ে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দলীয় প্রধান ইমরান খানের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।


এদিকে ইমরান খানের সূত্রে জানা গেছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তিনি তার সমর্থকদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বে ছিলেন ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি। তিনিও ইমরান খানকে না নিয়ে ফিরবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিত করতে হয়।


জানা গেছে, এই আন্দোলনে লাখ লাখ কর্মী এবং সমর্থক জড়ো হলেও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুপস্থিতি আন্দোলনের সাফল্যের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে কাজ করেছে। পাকিস্তানের একমাত্র খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ইমরানের দল পিটিআই সরকার গঠন করেছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন খান গন্ডাপুর এবং বুশরা বিবির নেতৃত্বে মূলত পিটিআই সমর্থকদের ইসলামাবাদমুখী আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল।



শহরের ডি-চক এলাকায় ছিল এর গন্তব্য, যেখানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অফিস, সংসদ ভবন এবং সুপ্রিম কোর্টসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অবস্থিত। সরকার শহরের প্রবেশ মুখগুলো বন্ধ করে দেয়। কমপক্ষে ৭০০ শিপিং কন্টেইনার বসিয়ে বাধা সৃষ্টি করা হয়।


পুলিশ এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গুলি এবং কাঁদানি গ্যাস নিক্ষেপ করে। ৮ জন নিহতের কথা জানা গেছে, যার মধ্যে ৪ জন রেঞ্জার্সের সদস্য এবং ২ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। সেনাবাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হলেও তাদের গুলিতে কোনো নিহতের বিষয় জানা যায়নি। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ভণ্ডুল হওয়ার পর রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ পুরো দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।


জানা গেছে, ডি-চক অভিমুখী এই মিছিলটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিবন্ধকতায় বাধাপ্রাপ্ত হলে অনেক বিক্ষোভকারী পালিয়ে যান। একপর্যায়ে এর নেতৃত্বদানকারী বুশরা বিবি এবং আলী আমিন খান গন্ডাপুরও পালিয়ে যান। পরবর্তীতে তাদের পক্ষ থেকে সরকারের দমনমূলক নীতির সমালোচনা করে বিবৃতি দেওয়া হয়।


পুরো বিষয়টি থেকে যা উঠে আসে, তা হচ্ছে এই আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে দলের ভেতরে সমন্বিত সিদ্ধান্তের অভাব ছিল। গোটা আন্দোলনটি দানা বেঁধে ওঠে মাত্র ৪ দিন সময়ের মধ্যে। যদিও কয়েকমাস ধরে ইমরান খানের মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন তার কর্মী এবং সমর্থকরা, তা নিয়ে দলগত সিদ্ধান্তের বাইরে ব্যক্তিগত আবেগ অনুভূতিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার ফলে একটি আন্দোলন কর্মসূচি সাফল্যের মুখ দেখেনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও