দেশ পুনর্গঠনে প্রাণপণ প্রয়াস চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার

বণিক বার্তা ড. মইনুল ইসলাম প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৯

সাড়ে ১৫ বছর ধরে গেড়ে বসা স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে প্রাণভয়ে বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত গ্রহণযোগ্য সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয় অর্জন করে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল।


ওই ভূমিধস বিজয় শেখ হাসিনাকে হয়তো আজীবন প্রধানমন্ত্রীর মসনদ দখল করে রাখার সর্বনাশা খায়েসে মত্ত হয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড থেকে কোনো শিক্ষা নেননি তিনি। ২০১০ সালে প্রদত্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের সুবিধা নিয়ে ২০১১ সালে তিনি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে তার নিয়ন্ত্রণাধীন সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের ব্যবস্থা করেছিলেন। ফলে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি একতরফা নির্বাচন করে তিনি সাড়ে ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর পদ জবরদখলে রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন।


২০১১ সাল থেকেই সব প্রধান বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তিনটি একতরফা নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, বরং ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে গত সাড়ে ১০ বছর দেশের জনগণের মনে ধারণা গেড়ে বসেছিল যে হাসিনার জীবদ্দশায় এ দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে আর সরকার পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। বিশেষত একতরফা নির্বাচনী প্রহসন সত্ত্বেও প্রতিবেশী ভারত নিজের স্বার্থে শেখ হাসিনার সরকারকে বারবার মেনে নেয়ার কারণে জনগণের হতাশা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তিনি তার নিজের অবৈধ ক্ষমতাকে এসব একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী করায় ক্রমান্বয়ে জনগণের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশে ক্রোধ বেড়েছিল। তাদের এ ক্রোধ গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হয়, যা সরকারকে উৎখাত করে। সে সুযোগ এনে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম। তিনটি একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়ে শেখ হাসিনাই গণ-অভ্যুত্থানে সরকার উৎখাতকে ডেকে এনেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও