দৈনন্দিন অর্থ ব্যবস্থাপনায় বাজেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?

জাগো নিউজ ২৪ সাইফুল হোসেন প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:০৪

অর্থ ব্যবস্থাপনা আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিদিন আয় করা, খরচ করা, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ— এই সবকিছু মিলিয়ে আমাদের আর্থিক পরিস্থিতি গড়ে ওঠে। তবে অর্থ ব্যবস্থাপনার একটি বিশেষ দিক হলো বাজেট তৈরি করা। অনেকেই বাজেট তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন নন, ফলে তারা প্রায়ই আর্থিক বিশৃঙ্খলার সম্মুখীন হন। দৈনন্দিন জীবনে অর্থ ব্যবস্থাপনা সহজ ও সফল করতে বাজেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাজেট তৈরি করলে আপনি আয়-ব্যয়ের একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন এবং খরচের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে পারবেন।


এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব কেন বাজেটিং আপনার দৈনন্দিন আর্থিক জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি কীভাবে আপনাকে একটি সুসংহত আর্থিক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।


১. আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা
বাজেটিং-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো আপনার আয় এবং ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা। আমরা অনেক সময় দেখি, মাসের শুরুতে ভালো আয় থাকলেও মাসের শেষে টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। এর মূল কারণ হলো আমাদের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্যের অভাব। বাজেট তৈরি করলে আপনি জানবেন আপনার কত টাকা আয় হচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী কোন খাতে কতটা খরচ করা সম্ভব।


যখন আপনি আয় এবং ব্যয়ের নির্দিষ্ট হিসাব রাখবেন, তখন আপনি অপ্রয়োজনীয় খরচগুলো সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন। আপনার মাসিক বাজেট তৈরি হলে আপনি দেখতে পাবেন কোন কোন খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব এবং কোথায় আরও সঞ্চয় করা যেতে পারে। এই পদ্ধতি আপনার আর্থিক স্থিতিশীলতা বাড়াবে এবং আপনার খরচের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হতে সাহায্য করবে।



২. সঞ্চয়ের অভ্যাস তৈরি করা
সঞ্চয় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক অভ্যাস, যা ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক সুরক্ষা গড়ে তোলে। তবে অনেকেই সঞ্চয় করার কথা ভাবেন, কিন্তু মাসের শেষ পর্যন্ত টাকা বাকি থাকে না। বাজেটিং আপনাকে এই সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করবে। বাজেট তৈরি করলে আপনি আপনার আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ সঞ্চয়ের জন্য আলাদা রাখতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় খরচের পর বাকি টাকা কিভাবে ব্যয় করবেন, তা পরিকল্পনা করতে পারবেন।


যখন আপনার আয় এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রিত থাকবে, তখন সঞ্চয়ের পরিমাণ স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। বাজেটিং-এর মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত করতে পারবেন যে আপনার প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সঞ্চয় হচ্ছে, যা আপনাকে ভবিষ্যতের জরুরি পরিস্থিতিতে সাহায্য করবে।


৩. অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো
আমরা অনেক সময় দৈনন্দিন জীবনে অপ্রয়োজনীয় খরচ করে ফেলি, যার ফলশ্রুতিতে আমাদের মাসিক ব্যয়ের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। এই খরচগুলো নিয়ন্ত্রণ না করলে তা দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। বাজেটিং-এর মাধ্যমে আপনি আপনার খরচের প্রতিটি খাত চিহ্নিত করতে পারবেন এবং কোথায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে, তা বুঝতে পারবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও