ব্যাটারিচালিত রিকশা ও আমাদের আধুনিক ঢাকা

জাগো নিউজ ২৪ এরশাদুল আলম প্রিন্স প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৪, ১১:৫৪

ঢাকার জনপরিবহন ব্যবস্থাই ঢাকার প্রধান সমস্যা যা সবাইকেই মোকাবেলা করতে হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ব্যয়ও বেড়েছে। জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। আজ থেকে ১৫ বছর আগের ঢাকাকে আজ আর চেনা যায় না। এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল আজ ঢাকার বাস্তবতা।


এই শহরে পৃথিবীর অন্যান্য আধুনিক শহরের মতোই মেট্রোরেল চলবে তা ছিল এক কল্পনামাত্র। সেখানে আজ মেট্রারেলের পাশাপাশি আছে এক্সপ্রেসওয়েও। এগুলো অবশ্যই আমাদের জনপরিবহন ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে এসেছে সন্দেহ নেই। আমরা তার সুফল ভোগ করছি। যদিও ব্যাপকহারে সাধারণ নাগরিকদের এখনও এই সুবিধার আওতায় আনা যায়নি।


মেট্রোরেলের সংখ্যা বা ট্রিপ আরও বাড়ানো প্রয়োজন আছে। এক্সপ্রেসওয়েকে সাধারণ নাগরিকদের জন্য আরও ব্যবহারযোগ্য করতে হবে। সেজন্য জনপরিবহন বা পাবলিক বাসকেও এর আওতায় আনতে হবে। কঠোর নিয়ম আরোপ করতে হবে। এখনও শুধুমাত্র গুটি কয়েক প্রাইভেটকারই এক্সপ্রেসওয়ের বড় সুবিধাভোগী। এই প্রবণতা এক্সপ্রেসওয়ের এই বিশাল বিনিয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কাজেই, আরও পাবলিক বাস যাতে এই সুবিধা নিতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।


সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে সন্দেহ নেই। তবে এ উন্নয়নকে আরও বেগবান ও দৃশ্যমান করতে না পারলে পরিস্থিতি দিনকে দিন আরও খারাপ হবে। এক্সপ্রেসওয়ে বা মেট্রোরেল হওয়ার পরও ঢাকার সড়গুলোর চিত্র আগের মতোই রয়ে গেছে। এই ঢাকা শহরে একই সড়কে রিকশা, ঘোড়ার গাড়ি থেকে শুরু করে বাস, অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা সবই চলছে। কিন্তু এতোকিছুর পরও ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম কমছে না। আসলে, এতোকিছু একসঙ্গে চললে রাস্তার গতি থাকে না। তখন পায়ে হেঁটেও মানুষ সড়কের চেয়ে আগে যেতে পারে।


যেকোনো বড় শহরেরর গণপরিবহনের মূল ভরসা বাস। বাসের ওপর নির্ভরতা সব শহরেই আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে ঢাকার বাসের সংখ্যা কিছু বাড়লেও মান আগের মতোই আছে। এবং যাত্রী সংখ্যার সাথে যে সংখ্যক বাস থাকা দরকার তার সিকি ভাগও নেই। বাসের মানের কথাই বাদই দিলাম। ২০২৪ সালে এসে ঢাকায় যেসব বাস চলাচল করে তা দুঃখজনক। একটি দেশের রাজধানীতে এরকম বাস চলাচলের অনুমতি কীভাবে পায় সেটাই এক বিস্ময়। মূলত: ঢাকায় গণপরিবহনের কোনো নিয়ম-নীতিই নেই। ফলে, যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি কমেনি, বরং বেড়েছে বহুগুণ।


ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে কথা হচ্ছে। ঢাকা রিকশার শহর আমরা জানি। কিন্তু রিকশা কি চিরদিনই থাকবে? এক সময় কোলকাতায় টানা রিকশা ছিল। আজ থেকে ২০ বছর আগে কোলকাতার অধিকাংশ এলাকায় টানা রিকশা চলতো। কিন্তু এখন কোলকাতায় হাতেগোনা কয়েকটি টানা রিকশা আছে। তাও ঐতিহ্য হিসেবে আছে হয়তো। এবং এ রিকশাগুলোতে কোলকাতার অধিবাসীরা খুব কমই ওঠেন। বাংলাদেশ থেকে যারা বেড়াতে যান তারাই বেশি এগুলোতে চড়েন। কারণ, আমাদের কাছে এটি অভিনব। কাজেই, গতি বাস্তবতাকে মেনে নিতে হয়।


আধুনিক জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ আধুনিক ও গতিশীল পরিবহন ব্যবস্থা। একটি শহরের জনসংখ্যা, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সেই শহরের পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। এক সময়ে আমাদের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখেই এই শহরে রিকশা নেমেছিল। আজ সময় বদলেছে। জীবনে গতি আনতে হবে। শহরে মানুষও বেড়েছে বহুগুণ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও