মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে যা করতে হবে
বাংলাদেশের চাপে পড়া সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, ডলারের বিপরীতে টাকার মানের অধোগতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঘাটতি, রপ্তানি আয় কমে যাওয়া, বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধি, রাজস্ব আয় কমে যাওয়া, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট, ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট ঘাটতি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বেকায়দায় ফেলেছে। এছাড়া আগেই প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে ফেলায় শেষ পর্যন্ত ব্যাংকের ৬-৯ সুদের হার সীমা তুলে দিয়েও স্বস্তি মিলছে না। বাস্তবে, সরকারের ৬ শতাংশ আমানতকারীর জন্য ৯ শতাংশ ঋণ গ্রহীতার জন্য সুদের হার প্রবর্তনের পেছনে বেশ কিছু সদিচ্ছা ছিল।
যেমন-১. ব্যাংক মালিকদের অতিরিক্ত মুনাফা কমানো, ২. ক্ষুদ্র ও সাধারণ ঋণগ্রহীতাকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়া, ৩. বিনিয়োগ বাড়ানো এবং ৪. ঋণহার ও আমানত হারের মধ্যে বিস্তার বা স্প্রেড কমিয়ে ব্যাংক মালিকদের মুনাফায় কিছুটা লাগাম টানা। আর ২০২০ সালে দেশের মূল্যস্ফীতিও ৫ বা ৬ ভাগের বেশি ছিল না। কিন্তু প্রথমে করোনা এবং তার পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবার বৈশ্বিক অর্থনীতিকে চাপে ফেলে। অভ্যন্তরীণ কারণ ছাড়াও বৈশ্বিক অস্থিরতা, যেমন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের ঊর্ধ্বমূল্য, পণ্যের জোগান কমে যাওয়া ও দাম বৃদ্ধি দেশে দেশে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করে।