কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মুক্ত গণতন্ত্র রুদ্ধ রাজনীতি: এক নিবিড় প্রত্যক্ষদর্শীর স্বপ্ন ও বাস্তবতার ভাষ্য

প্রথম আলো এম এম খালেকুজ্জামান প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৮

‘মুক্ত গণতন্ত্র’ ও ‘রুদ্ধ রাজনীতি’—দুটি শব্দজোড়া হিসেবে আমরা দেখতে পারি।


প্রথমটি (মুক্ত গণতন্ত্র) হচ্ছে স্বপ্ন আর পরেরটি (রুদ্ধ রাজনীতি) হচ্ছে বাস্তবতা। পাঁচ বছর পরপর ঘুমিয়ে থাকা অনিশ্চয়তার সরীসৃপটি যেন আড়মোড়া ভেঙে নড়ে ওঠে। তখন দেশ, রাজনীতি, সমাজ—সবকিছু নড়ে ওঠে। দ্বিদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার দেশে ২০০১ সাল পর্যন্ত মোটামুটি একটা ধারা মেনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সরকার পরিচালনা করেছে।


এর পর থেকে ছলে-কৌশলে একদল নিকেশ করতে চায় অন্য দলকে। রাজনীতি সহজ হয়ে গেলে অন্য দল যেন সুবিধা না পায়, সে বিবেচনায় বদলে ফেলা হয় রণনীতি। আসলে রাজনীতির সমস্যার মূল বুঝতে ক্ষমতার কাঠামো দেখতে হবে এ (অ)ব্যবস্থা থেকে দূরে অবস্থান নিয়ে এবং এই চক্রব্যূহের বিরুদ্ধে ঠিক কোন দাওয়াই কাজ করবে, তা যেন এই সময়ের জিজ্ঞাসা।


সেই জিজ্ঞাসার জবাব খুঁজতে সহায়ক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের ‘মুক্ত গণতন্ত্র রুদ্ধ রাজনীতি: বাংলাদেশ (১৯৯১-২০১৭)’ বইটি।


লেখক গত শতকের শেষ দশক থেকে কালের সরণি ধরে চলে এসেছেন চলতি শতাব্দীর প্রায় দুই দশক পর্যন্ত। এটি মূলত সেই সময়ের রাজনীতির এক অস্বস্তিকর চিত্রের ধারাবাহিক বয়ান।


আমাদের আত্মসমীক্ষার অনীহার কারণে রাজনীতির কাল নিয়ে এমন সমালোচনা ও বিশ্লেষণমূলক কোনো আলাপ হতে দেখি না। তবে এই বইয়ে তিনি কঠিন মনঃসংযোগ আর নিরাবেগ পেশাদারত্ব নিয়ে ত্রিকালদর্শীর মতো প্রায় তিন দশকের (১৯৯১-২০১৭) রাজনৈতিক যে আলেখ্য হাজির করেছেন, তা রাজনীতির গবেষকদের জন্য এক রেডি রেফারেন্স।


দেশের সব রাজনৈতিক দলেরই অভিমুখ সমাজ ও দেশের মানুষ এবং রাষ্ট্রের উন্নয়ন। বড় দুটি দলের রাজনীতির মৌল প্রকল্প অভিন্ন, কিন্তু নানা বাস্তবতায় তাদের অবস্থান আড়াআড়িভাবে একে অন্যের বিপরীতে। অথচ ইতিবাচক রাজনৈতিক মিথোজীবিতা রাজনৈতিক সংস্কৃতির সদর্থক পরিবর্তন সূচনা করে দল ও দেশের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারত।


এ কথা স্বীকার করতে হবে, দেশে একধরনের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা আছে, কিন্তু পাঁচ বছর পরপর এই বোধ দ্বারা আক্রান্ত হতে হয় যে দেশের রাজনীতি ও সমাজজীবনে ক্রান্তিকাল চলছে। এ এক পলিটিক্যাল প্যারাডক্স।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও