বলতে না দেওয়া থেকে বিদ্রোহ হয়

দেশ রূপান্তর সৈয়দ জামিল আহমেদ প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ও পারফরম্যান্স স্ট্যাডিজ বিভাগের অনারারি অধ্যাপক এবং নাট্য নির্দেশক ও পরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। বছরব্যাপী দেশের সাংস্কৃতিক চর্চা নানাভাবে আলোচনায় থাকে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি দেশ রূপান্তরকে জানান, শুধু নাটক নিয়ে কথা বলবেন, কারণ যুদ্ধের নতুন ফ্রন্ট তিনি খুলতে চান না। ফলে নাটক নিয়ে আলাপের সূত্রে আমরা দেশের সাংস্কৃতিক চর্চার তালাশ চালিয়েছি।


আপনার নাটকে ‘কায়দা করে বেঁচে থাকার’ কথা উঠে এসেছে। এই বাস্তবতায় শিল্প, বিশেষ করে আপনার বা আপনাদের নাটক করতে কতটা কায়দা করা লেগেছে বা লাগছে?


সৈয়দ জামিল আহমেদ: আসলে ‘কায়দা করে বেঁচে থাকো’ কথাটা খুব সম্ভবত একটা কবিতার বইয়ের টাইটেলে দেখেছিলাম। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালেও চিকা মারা দেখেছি। সেখান থেকে পেয়েছি এটা। আর মনে হয়েছিল আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপটটা অর্থনৈতিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এটা খুব সংক্ষেপে কথা বলে যে, কীভাবে বেঁচে থাকতে হয়। এখন কায়দা করে বেঁচে থাকাটা অর্থ আমার কাছে এরকম। আপনি যদি ব্রেখটের লাইফ অব গ্যালিলিও নাটকটা পড়েন, তাহলে দেখবেন গ্যালিলিওকে যখন একেবারে পোপ এবং ধর্মের যে শাসকগোষ্ঠী আছে তারা যখন নির্যাতনের ভয় দেখাল তখন সে সম্পূর্ণভাবে রিটার্ন করল। মানে সে এতদিন যা বলে এসেছিল যে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে এই তত্ত্বকে অস্বীকার করে বলল এটা আমি ভুল বলেছি। নিজের ভুল স্বীকার করে নিল। স্বীকার করে নেওয়ার পর তার ছাত্রসহ সবাই তাকে ছেড়ে চলে গেল এবং সে অনেক কষ্ট পেয়েছিল। 


তারপর দেখা গেল নাটকের শেষপ্রান্তে এসে তার ছাত্র যখন বিদেশে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে দেখা করতে আসে। তখন সে খুব গোপনে তাকে একটা বই দেয়। যে বইটা সে লিখেছে এবং তার তত্ত্বের ফাইন্ডিংসগুলো সেগুলো সব একটা বই আকারে লিখে ডিসকোর্সি নামে তার ছাত্র আন্দ্রিয়াকে দেয়। ব্রেখটের এ কায়দাটাকে আমি খুব ভালো করে বুঝি। কারণ ব্রেখট যেভাবে কাজ করেছিলেন সেটা হচ্ছে একদিকে আপনার আমেরিকায় যখন তিনি ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। তাকে সিনেটের হেয়ারিংয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছিল, মার্ক্সিস্ট ছিলেন বলে এবং উনি অনেক কায়দা করে ওখান থেকে পার হয়ে এসে ফেরত চলে এসেছিলেন বার্লিনে এবং সেখান থেকে আর আমেরিকা যাওয়ার কথা চিন্তা করেনি কখনো।


এই কায়দা মানে, আপনাকে হতে হবে একজন ধুরন্ধর রঙ্গকর্মী। আমার এক প্রবন্ধে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের একটা সেমিনার পেপারে, আমাদের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পেপার উপস্থাপনে আমি বলেছিলাম যে, ধুরন্ধর রঙ্গকর্মী যে বহুরূপী। বহুরূপী হতে হয় তার মানে আপনাকে এখন কাজ করতে গেলে এমন এক রঙ্গকর্মী হতে হবে যে ধুরন্ধর এবং নৈতিকভাবে সৎ। ধুরন্ধর কিন্তু একই সঙ্গে বহুরূপী। এখন নৈতিকভাবে আপনি যদি সৎ হন তাহলে আপনি এই নিউ লিবারেল যুগে, এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে টিকতে পারবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও