কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সংকটে নির্বাচন

www.ajkerpatrika.com বাসব রায় প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৩

বেশ শীত পড়া শুরু হয়েছে। ভোটের বাজার শীতকে অতিক্রম করে গরম হাওয়া ছড়ানোর কাজও শুরু করেছে।  সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রার্থীরা নিজ নিজ মাঠে নেমে পড়বেন অচিরে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন নির্ধারিত হয়েছে, তাই এই কদিনই ভোটারদের কাছে আবেদন-নিবেদনের চূড়ান্ত সময়। প্রার্থী এবং কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পক্ষে-বিপক্ষে এখনো নানা রকম জটিলতা থেকেই যাচ্ছে। বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি দণ্ডায়মান এখনো। বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন বা পরোয়ানা নিয়ে বিক্ষিপ্ত অবস্থানে আছেন, যা সুখকর বলে প্রতীয়মান হওয়া বেশ দুষ্কর। যা হোক, তা সত্ত্বেও নির্বাচনী হাওয়া গরম হয়ে উঠছে ক্রমেই।  


অবস্থাদৃষ্টে সরকারি দল আওয়ামী লীগ সবভাবেই শক্ত অবস্থানে আছে। পক্ষান্তরে বিএনপি ভেতরে-বাইরে নানামুখী চাপ ও সমস্যা সঙ্গে নিয়ে ভোটের মাঠে না দাঁড়ানোর মানসিকতা নিয়ে ধীরগতিতে এগিয়ে চলছে আন্দোলনের পথে। বিএনপি বরাবরই একটি জনপ্রিয় দল। তাই ভোট অনুষ্ঠান নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হলে তারাই যে সরকার গঠন করবে, এমন ধারণা বিএনপিদলীয় উচ্চমহল থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে এবং প্রতিদিনই সব মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী নেতারা জোরেশোরেই এই অমোঘ প্রত্যাশাটি ব্যক্ত করে চলেছেন রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে। 


কিন্তু এবারে বিএনপি অন্যান্য সময়ের মতো তর্জনগর্জনে আর বিশ্বাসী নয় বলেই মনে হচ্ছে। অতীতের আওয়ামী লীগের চেয়ে বর্তমানের আওয়ামী লীগ কার্যত যথেষ্ট শক্তিশালী; বিরতিহীন ১৫ বছরের শাসনামলে আওয়ামী লীগ দেশে এবং বিদেশে অতুলনীয় সাফল্য দেখিয়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই। উন্নয়নের যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত দেখাতে সক্ষম দলটি কোনোভাবেই দুর্বল অবস্থানে নেই। দেশের সার্বিক চালচিত্র অনুযায়ী নৌকার পক্ষেও জনমত কোনো কারণেই কম নেই বরং পরিস্থিতিবিশেষে তা অনেক বেশি। স্বাভাবিক নির্বাচনের ভোটাভুটিতে আওয়ামী লীগও যে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছে, তা ভুলে গেলে চলবে না। দলটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং নিঃসন্দেহে ঐতিহ্যময় গৌরবের অধিকারী। 


যেহেতু আওয়ামী লীগের উন্নয়ন সব সেক্টরেই সমানভাবে হয়েছে, সে জন্যে উন্নয়নভোগীরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নৌকার পক্ষেই কাজ করবেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেকানিজমের মাধ্যমে কোনো দলের ক্ষমতায় আসার দিন এখন আর নেই বললেই চলে। বহিঃশত্রুরা চিরকাল বিরূপ মন্তব্য বা সমালোচনা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাটি চলমান থাকবে সন্দেহ নেই। কাজেই নিজের দলের জনপ্রিয়তা আছে—নিশ্চিত বিশ্বাস নিয়ে বিএনপির বসে থাকাও সমীচীন নয় বরং আওয়ামী লীগকে সমান জনপ্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনায় যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে বিচার করে স্বীয় কর্মপদ্ধতি ঠিক করা প্রয়োজন, যার জন্য সব শক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা দলটির রয়েছে।  


আওয়ামী লীগ একটানা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে উন্নয়নের দিশা দেখিয়েছে, এটি সত্য, তবে একটানা ক্ষমতায় থাকায় নানা রকমের দুর্নীতি বা প্রশ্রয়নীতিরও জন্ম দিয়েছে। ফলে ৭১ জন সংসদ সদস্যকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তবে নৌকার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাজার খুব ভালো। এবার রেকর্ড পরিমাণ ভোট পাবেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর সত্যিই যদি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের ভোট পেয়ে যান, তাহলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে কিছুটা হলেও।  

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও