সংকটকালে সাংবাদিকতা কেমন হওয়া উচিত

ঢাকা পোষ্ট অমৃত মলঙ্গী প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১১:৪২

আগুন লাগে, ভবন ধসে পড়ে, কেউ চিৎকার করে ওঠে। আর ক্যামেরাগুলো একে একে ছুটে আসে দুর্ঘটনাস্থলের দিকে। কেউ চিৎকারের রেকর্ড নেয়, কেউ লাইভে যায়, কেউ আবার নিহতের মুখ ক্লোজআপে ধরার প্রতিযোগিতায় নামে। ওদিকে উৎসুক জনতার ভিড়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। জনতার ভিড় থেকেও চালু হয় শত শত মোবাইল। বাংলাদেশের মতো দুর্ঘটনাপ্রবণ অঞ্চলের ক্ষেত্রে এই চিত্র প্রতিনিয়ত প্রকট হচ্ছে, বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায়।


আবার একটা বিপরীত চিত্রও আছে। সাংবাদিক কিংবা পেশাদার কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দোষ খুঁজতে অনেকেই তথ্যপ্রমাণ ছাড়া সমালোচনা শুরু করেন। ‘ভিউ শিকারি’ বলে আখ্যা দিতে থাকেন। নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বোধসম্পন্ন সাংবাদিক এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটররা কাজের সময় নিরাপদ দূরত্বে থেকেই দৃশ্য ধারণ করেন।


দু-একজন থাকেন, যারা সাংবাদিকতার নীতিনৈতিকতা ভুলে কিংবা অজ্ঞতার কারণে এমন আচরণ করেন যা দুর্ঘটনা কবলিত ভিকটিম বা ভুক্তভোগীর জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই লেখা তাই দোষ খোঁজার নয়, পথ খোঁজার। এখানে আমি সেই ভার অনুভব করব, তুলে ধরব মাঠের অভিজ্ঞতা। সেই মুহূর্তের যন্ত্রণা, দ্বিধা, দায়িত্ব ও প্রতিবন্ধকতা। খুঁজে দেখব আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের নীতিমালা।


তথ্য মন্ত্রণালয় বা নীতিনির্ধারকদের জন্য যদি কোনো নোট তৈরি হয়, আমি চাই এই লেখাটি তার প্রারম্ভিকা হোক। আগুন নিভে গেলে, ধসের ধুলো বসে গেলে, ক্যামেরা বন্ধ হলেও সাংবাদিকতার বিবেক যেন জ্বলতে থাকে। যাতে আমরা একসঙ্গে ভাবতে পারি—সংকটকালে কেমন হওয়া উচিত সাংবাদিকতা।



গণমাধ্যমভিত্তিক সরকারি-বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত ডিজিটাল যুগের বাস্তবতা মাথায় রেখে ট্রেনিং আউটলাইন তৈরি করা। প্রিন্টের যুগে যে ধরনের প্রশিক্ষণ হতো, তা ফেলে না দিলেও আপডেট করতেই হবে।


Columbia University’র Dart Center-এর ‘TRAUMA & JOURNALISM A Guide For Journalists, Editors & Managers’ গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ‘‘Where individuals are in obvious distress, accept that you may sometimes need to offer help and support before you can report. You’re a human being first, after all, and a journalist second. At the same time, remember that you’re not there professionally to rescue, and that you can help by getting the story.


“Approach people with care, respect and kindness. Take a moment to introduce yourself, make eye contact and explain why you would like to talk to them. Take it slowly and don’t rush-however chaotic the circumstances. Don’t just stuff a microphone in someone’s face and expect an interview.”


অর্থাৎ, সংকটময় সময়ে যখন কেউ স্পষ্টভাবে কষ্টে থাকেন, তখন প্রথমে মানবিক সহানুভূতি নিয়ে সাহায্যের চেষ্টা করা জরুরি, কারণ প্রথমে আপনি মানুষ, পরে সাংবাদিক। পাশাপাশি এটাও স্মরণে রাখুন যে সাংবাদিকতার পেশাগত দায়িত্ব হিসেবে সাহায্য করা নয়, সত্য ঘটনা জানানোই মূল কাজ। এ সময় মানুষের সঙ্গে সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে, নিজের পরিচয় দিতে হবে, ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে কথা বলতে হবে-অর্থাৎ পরিস্থিতি যতই অস্থিতিশীল হোক, জোর করে বা দ্রুত কোনো সাক্ষাৎকার নেওয়া উচিত নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও