সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি : কাঁচা হাতে পাকা কাজ

জাগো নিউজ ২৪ মোস্তফা কামাল প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৪

কত আদরেরই না ছিল তারা। সেই স্নেহ- ভালোবাসা-ভরসা, আস্থা-বিশ্বাসের প্রায় ষোলো আনাই বরবাদ করে দিয়েছে। তাও অতি অল্প সময় এক বছর না যেতেই। চাঁদা-বখরা-তদবির থেকে শুরু করে ধর্ষণসহ যৌন অপরাধ কিছুই বাদ নেই। যারা ফ্যাসিস্ট তাড়িয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে অকাতরে জীবন দিয়েছে, চরম নির্যাতন সয়েছে, অক্লান্ত পরিশ্রম করছে, তাদের এমন অধঃপতন ভাবতে কষ্টকর।


তাদের চাঁদাবাজির কিছু তথ্য ঘুরছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এরপরও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার একটি মানসিকতা ছিল অনেকের। সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়ক ইত্যাদি পরিচয়ে তাদের নানান অপকর্মের গোপন ও নীরব দর্শক অনেকেই। পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও জোগাড় হচ্ছিল তথ্যাবলি। কিন্তু, উপরের দিকের মনোভাব জানা দরকার ছিল। এক পর্যায়ে গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কিছু নির্দেশনা পাঠান। এরপরই চাঁদাবাজি, হাদিয়াবাজি ও ক্রাউডবাজির বিরুদ্ধে অ্যাকশন।


চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ প্রতীক মাত্র। রাজধানীর গুলশানে সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার রিয়াদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগে। সেখানে তার পাকা ভবন তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় আড়াই মাস আগে ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে দেওয়া হয়েছে ছাদ ঢালাই। তার আরেক পরিচয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। সংগঠনটি তাকে বহিষ্কার করেছে। গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে রাজ্জাকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।



এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিয়াদসহ চারজনের রিমান্ড চলছে। দেশে এই কিসিমের আরও রিয়াদ পয়দা হয়েছে গত ১০-১১ মাসে। গুলশান তথা রিয়াদের ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সারাদেশের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা দেওয়া হয়। আমাদের ছাত্র-কিশোর-যুবকদের জন্য সম্মানের হলো গোটা বিষয়টি? কত আদর-মায়া-সম্ভাবনার ছিল তারা?


গোটা রাজনীতি সমালোচিত হয়ে পড়াসহ নানানে কারণে গত টানা বছর-দশক কয়েক মেধাবী ছাত্রের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ কমে গেছে। এসএসসি-এইচএসসিতে মোটামুটি রেজাল্ট করলেই সন্তানকে বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। এই সন্তানরাও উচ্চশিক্ষা শেষে আর দেশমুখী হতে চাচ্ছিল না। আর যাদের বিদেশ পাঠানোর সামর্থ্য নেই, তারা দেশেই সতর্ক থেকেছেন তাদের সন্তান যেন রাজনীতিতে না জড়ায়। ভালো ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সেই বাস্তবতায় প্রচার করতে থাকে, তারা রাজনীতিমুক্ত।


চব্বিশের অভ্যুত্থান চিত্র বদলে দেয়। রাজনীতি ঘৃণা করা তারুণ্য তথা শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন আশাবাদ জন্ম নেয়। রাজনীতিতে মেধাবীদের সংযোগ ঘটবে বলে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দেয়। তরুণদের উত্থানকে এদেশের মানুষ মনে প্রাণে গ্রহণ করেছে। প্রবল ক্ষমতাবান ফ্যাসিস্টকে যারা হটিয়েছে, পরাজিত বলে কোনো শব্দ তাদের জানা ছিল না। এমন শানিত প্রতিজ্ঞায় দীপ্তমানদের অল্পতেই মারাত্মক বিপর্যয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও