রাষ্ট্র ব্যর্থ, মানুষ অসহায়—ভরসার নাম কি তারেক রহমান?
মৃত্যুর মুখে দিপু চন্দ্র দাস বারবার বলেছিলেন, ‘আমি নবীকে নিয়ে কিছু বলিনি। আমাকে মাইরেন না। বিশ্বাস করেন, আমি কিছু বলিনি।’ পুড়তে পুড়তে ছোট্ট শিশু আয়েশা বলেছিল, ‘আব্বু আমাকে নাও, আমাকে নাও।’ সাম্প্রতিক যে তিনটি ঘটনা সারা বাংলাদেশকে কাঁদিয়েছে, দুঃখ দিয়েছে, যন্ত্রণা দিয়েছে, তার দুটির কথা বললাম। এই তিনটি ঘটনার প্রথমটি শরীফ ওসমান হাদির নির্মম মৃত্যু।
জুলাই অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই জন্য ভোট চাইতে মাঠেও নেমে পড়েছিলেন। গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত হন তিনি। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়। প্রকাশ্য দিবালোকে হাদিকে গুলি করে আততায়ী পালিয়ে গেছেন, পালিয়ে আছেন। গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার পর রাতেই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। হাদি শহীদের মতো মৃত্যু কামনা করতেন। একটা ভিডিওতে দেখলাম, হাদি কান্নাকাতর কণ্ঠে বলছেন, ‘ভাই, আমার বাচ্চাটাকে দেইখেন।’ গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাদি আর কথা বলতে পারেননি। হাদিকে মেরে ফেলা হতে পারে, তিনি সেটি টের পেয়েছিলেন, প্রকাশ্যে জানিয়েও ছিলেন এ কথা। কিন্তু তাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্র।