‘দেখানো’র নির্বাচনে নতুন কী দেখা যাবে?

সমকাল হাসান মামুন প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০২

নির্বাচনে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিপক্ষ না থাকলে কোনো ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ যে হয় না- সেটা অস্বীকারের সুযোগ নেই। প্রকাশ্যে না হলেও একান্ত আলাপে সরকার সমর্থকরাও এটা স্বীকার করছেন। সরকারও চাইছে আসছে নির্বাচনে বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখাতে; সেটা সমমনা দলগুলোর মধ্যে হলেও। মাঠের বিরোধী দল বিএনপি পারত বিদ্যমান পরিস্থিতিতেই নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিতে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের ভিন্ন একটা পরিস্থিতি দেখতাম।


এর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের নির্বাচনে কিন্তু তারা অংশ নিয়েছিল। তবু সেটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। ‘অংশগ্রহণমূলক’ হলেও নির্বাচন যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নাও হতে পারে, তার ভালো উদাহরণ ২০১৮-এর নির্বাচন। সে অভিজ্ঞতার কারণেও বিএনপি এবারের নির্বাচনে আসতে রাজি হয়নি। এবারের নির্বাচনের ওপর অবশ্য প্রভাবশালী যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের গভীর দৃষ্টি রয়েছে। নতুন এ উপাদানটিও বিএনপিকে নির্বাচনে উৎসাহী করতে পারেনি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, সরকারও চায়নি তারা আসুক। সেটা তাদের লক্ষ্য অর্জনের পথে বাড়তি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করত। তার বদলে এখন সহজ হয়ে গেছে নির্বাচন পার করাটা!


বাধা একটাই– জোটসঙ্গী ও সমমনা যাদের আনা গেল, তাদের শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে ধরে রাখা। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও কিন্তু নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া যায়। ভোট গ্রহণ চলাকালেও নির্বাচন বর্জন করা সম্ভব। ফলও প্রত্যাখ্যান করা যায়। সংসদে যোগ দিয়েও পদত্যাগের সুযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারকে সহায়তায় যারা এগিয়ে এসেছে, তাদের সঙ্গে এমন কিছু করা যাবে না, যাতে তারা বেঁকে বসে। তাদের ধরে রেখে বরং দেখানোর চেষ্টা করতে হবে, বিএনপি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে থাকলেও এটাকে ‘অংশগ্রহণমূলক’ করা যায়। সংসদকেও ‘বহুদলীয়’ রূপে হাজির করা সম্ভব। যারা এ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হলো এটা করে দেখানো।


কাকে ‘দেখানো’ হচ্ছে, সেটা অবশ্য প্রশ্ন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের যে অংশটি এখানে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়, তারা কি এমন নির্বাচন এই প্রথম দেখছে? দেশের মানুষও কি এ ধরনের নির্বাচন আর দেখেনি? বয়সের কারণে যারা সামরিক শাসনামলের ‘পাতানো নির্বাচন’ দেখেনি, তারাও নিকট অতীতে ২০১৪ সালে এমন নির্বাচন হতে দেখেছে। ২০১৮ সালেরটিও ‘আসন ভাগাভাগির নির্বাচন’ ছিল বলে মনে করা হয়। এমন অভিযোগও রয়েছে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসন পাবে বলে সমঝোতার ভিত্তিতে খোদ বিএনপিই এতে অংশ নিয়েছিল। তাদের হয়তো আশা ছিল, ক্ষমতায় ফিরতে না পারলেও সংসদে প্রধান বিরোধী দলের হৃত অবস্থান পুনরুদ্ধার করা যাবে। তার পরেরটা পরে দেখা যাবে! কিন্তু নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) বেরিয়ে আসে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে। বিএনপি পায় মোটে ৭টি আসন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও