কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পাট থেকে তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের উত্থানের গল্প

বণিক বার্তা জাইদি সাত্তার প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৫

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের শিল্প খাত বলতে ছিল পাট শিল্প। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী খাত হিসেবে গুরুত্বের কারণে পাটকে বলা হতো সোনালি আঁশ। একদিকে পাট শিল্পের পতনের সঙ্গে সঙ্গে নাটকীয়ভাবে উত্থান হয় তৈরি পোশাক শিল্পের (আরএমজি)। শুরুর দিকে কেউই ভাবেনি আরএমজিতে বাংলাদেশ এত দূর যাবে এবং বিশ্বের শীর্ষ তিন রফতানিকারকের জায়গায় চলে যাবে। 


পাট শিল্পের সবচেয়ে ইতিবাচক দিকটি ছিল আমাদের দেশে এর ব্যাপক ফলন হয়। অর্থাৎ এ শিল্পের কাঁচামাল দেশেই পাওয়া যায়। আমাদের জুট মিলগুলোও ছিল অনেক বড়। আদমজী জুট মিলস পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাট কারখানা ছিল। ১৯৮০ সাল নাগাদ শতকরা ৭০ ভাগ রফতানি ছিল পাট ও পাটজাত দ্রব্য (জুট, র জুট ও জুট গুডস)। কিন্তু নব্বইয়ের দশক আসতে আসতে সেটা নেমে ৪০ শতাংশে এসে গেল। আশির দশক থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের আবির্ভাব হলো। এখানে দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানি দাইয়ুর একটা বড় অবদান ছিল। সেটা হচ্ছে, বাংলাদেশে আমরা তুলা উৎপাদন করি না। টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিও এত বড় ছিল না। সে সময় বরং ভারত ও পাকিস্তান অনেক এগিয়ে ছিল। সে হিসেবে তাদেরই তো পোশাক শিল্পের রফতানিতে বড় হওয়ার কথা। বাংলাদেশ কী করে পারল? সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার যে কোম্পানি দাইয়ু গ্রুপ তারা দেখিয়ে দিল আমরা তৈরি পোশাকে ভালো করতে পারি। 


আমাদের তখন প্রায় ৪০ শতাংশ পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক ছিল। ওই অবস্থায় রফতানি করা মুশকিল ছিল। কারণ তখন বিশেষ করে পোশাক শিল্পে শতকরা ৯০ ভাগ কাঁচামাল কাপড়, ইয়ার্ন ও অ্যাকসেসরিজ—সব আমদানি করতে হতো। কিন্তু সে অবস্থায় আমরা কী করে রফতানি করতে পারলাম। প্রধান কারণ হচ্ছে পোশাক শিল্প হচ্ছে শ্রমঘন শিল্প। টেক্সটাইলের প্রক্রিয়ায় যে শেষ ধাপ, সেটা হচ্ছে কাপড় বানানো বা তৈরি করা, সেটি শ্রমঘন শিল্পের অন্তর্ভুক্ত। 


শ্রমঘন শিল্পে তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানি বুঝল বাংলাদেশে সস্তায় শ্রমিক পাওয়া যাবে। এদিকে ১৯৭৪ সালে মাল্টি ফাইবার অ্যারেঞ্জমেন্ট (এমএফএ) হলো। উন্নত বিশ্ব অনুভব করল উন্নয়নশীল বিশ্ব থেকে নিজেদের আমদানি সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেহেতু ইইউ আমদানি সীমিতকরণ প্রত্যাখ্যান করে, রফতানি বাড়তে থাকে। পরে জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড (জিএটিটি) উরুগুয়ে রাউন্ডে টেক্সটাইল বাণিজ্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এখতিয়ারে আসে। সবশেষে এগ্রিমেন্ট অন টেক্সটাইল অ্যান্ড ক্লদিং এমএফএর অধীন কোটা পর্যায়ক্রমে বিলুপ্ত করার পথ খুলে দেয়। 


দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং, সিঙ্গাপুরের মতো দেশ প্রচুর পোশাক রফতানি করত। সে সময় যেসব দেশ রফতানি করতে পারছিল না, তাদের কোটা দিল এমএফএ। একটা বাজারের ব্যবস্থা হলো, কিন্তু রফতানি করতে হলে তো প্রস্তুত করতে হবে। সেসব বাজারে প্রতিযোগিতামূলকভাবে রফতানি করতে হবে। সেই পথটা দেখাল দক্ষিণ কোরিয়ার দাইয়ু কোম্পানি। তারা বাংলাদেশকে বোঝাল, তোমরা এত শুল্ক দিয়ে কাঁচামাল আমদানি করে পোশাক শিল্পের রফতানি করতে পারবে না। এটাকে যদি ডিউটি ফ্রি (শুল্ক মুক্ত) আমদানির ব্যবস্থা করা যায় তখন ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এগিয়ে এলেন নুরুল কাদের খান নামে এক জাঁদরেল আমলা। সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি দেশ গার্মেন্টস চালু করলেন। তিনি তখন বুদ্ধিটা সরকারকে দেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজস্ব বোর্ড, অর্থ মন্ত্রণালয়ে কথা বলেন। যেহেতু তিনি প্রভাবশালী সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা ছিলেন, তার কথা তারা শুনে ডিউটি ফ্রি আমদানির ব্যবস্থা করেন। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও