মেগা প্রকল্পে বিগ পুশ: রাজনৈতিক কারণ ও বাস্তবতা

বণিক বার্তা পাপলু রহমান প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১৪

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে ক্রমে এগিয়েছে বাংলাদেশ। গত ৫২ বছরে দেশে অনেক ভৌত অবকাঠামো হয়েছে। শুরুর দিকে বিদেশী সহযোগিতা নির্ভর হলেও বেশকিছু ক্ষেত্রে নিজস্ব অর্থায়নেই উন্নয়ন অবকাঠামো বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। দেশে প্রতিটি সরকারের আমলেই উন্নয়নের ধারা ছিল। সব সরকারের কাছে অবকাঠামো উন্নয়ন আকর্ষণীয় ছিল। তবে ক্ষমতার ধারাবাহিকতায় থাকা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় উল্লেখযোগ্য মেগা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন হয়েছে। 


সাধারণত মেগা প্রকল্প হলো বড় আকারের জটিল উদ্যোগ। এর বরাদ্দের পরিমাণ থাকে শতকোটি ডলারের ওপর। বাস্তবায়নে অনেক বছর লাগে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদের সমন্বয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। মেগা প্রকল্প লাখ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে। 


গত এক যুগে বর্তমান সরকার সড়ক-মহাসড়ক, সেতু, রেলযোগ, বিদ্যুৎ, বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, প্রতিরক্ষা, ডেল্টা প্ল্যান, স্যাটেলাইট, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মেগা বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছে। সরকারের মেগা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের তালিকায় অন্যতম হলো পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলযোগ, পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্প, আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ ইত্যাদি। 


কিন্তু এত সব প্রকল্পের অর্থনৈতিক তাৎপর্য, তাত্ত্বিক দিক কী? কেনই বা মেগা প্রকল্পে সরকারের এত আগ্রহ? সরকারি এসব প্রকল্প বিনিয়োগের আলোচনায় খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ রোজেন্সটাইন রোডেনের ‘‌বিগ পুশ তত্ত্ব’ রয়েছে। তার তত্ত্বের বক্তব্য হলো, দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বের হতে অর্থনৈতিকভাবে বড় ধাক্কার প্রয়োজন হয়। একটি বিমান যেমন উড্ডয়নের আগে গতির সঞ্চার করে, ঠিক সে রকম। অর্থাৎ অনুন্নত বা স্বল্পোন্নত দেশকে উন্নয়নের পথে অগ্রসর হতে হলে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়ে। তিনি মনে করেন, ছোট আকারের বিনিয়োগ বাড়িয়ে মাথাপিছু আয় ও কাঠামোগত পরিবর্তন আনা যায় না। বরং বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। এতে বিনিয়োগকারীরা উৎসাহী হন। 


বিগ পুশ বা বৃহৎ ধাক্কা তত্ত্বের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য পরিষ্কারভাবে বলা যায়— রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগে সরকার এটি তত্ত্বাবধান করে, ভৌত অবকাঠামো বাস্তবায়নে ব্যয় বেশি হয়, অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ বাজার সম্প্রসারণ হয়, অর্থনৈতিক মিতব্যয়িতা তৈরি, উৎপাদন ও কর্মস্থান বৃদ্ধি পায় এবং বিদেশী ঋণের প্রয়োজন পড়ে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও