আমাদের পরিবেশ-প্রকৃতির ঐতিহ্যের সবেধন নীলমণি সুন্দরবন। সেই সুন্দরবনই দক্ষিণাঞ্চলকে বছরের পর বছর বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে যাচ্ছে। একসময় কক্সবাজার উপকূলেও ছিল একটি সুন্দরবন। পরিবেশকে গুরুত্ব না দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষের ধুম তুলে সেই সুন্দরবনকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। যার কারণে কক্সবাজার উপকূল আজ অরক্ষিত। এখন খুলনার সুন্দরবন রক্ষায় আমরা কতটা গুরুত্ব দিচ্ছি।
বন বিভাগ, সরকারি কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতা, প্রভাবশালী ব্যক্তি, চোরাকারবারি সিন্ডিকেট থেকে শুরু করে একেবারে জেলে-মৌয়াল পর্যন্ত—সবাই প্রকৃতির এই আধারের দিন দিন নানাভাবে ক্ষতি করে যাচ্ছেন।
সুন্দরবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গহিন বনের ভেতরে বিভিন্ন খালে বিষ ছিটিয়ে চিংড়ি মারা হচ্ছে। শুঁটকি তৈরির জন্য জায়গা করতে গাছও কেটে ফেলা হচ্ছে। এসব কারও অজানা নয়। প্রায় সময় সংবাদমাধ্যমে একশ্রেণির জেলের এমন অপকর্মের খবর উঠে আসছে। কিন্তু কোনোভাবেই তাঁদের থামানো যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।