সংকটকালীন পরিস্থিতিতে শিক্ষায় আর্থিক সহায়তার গুরুত্ব
শিক্ষা যে শুধু আমাদের সুকুমারবৃত্তির বিকাশ ঘটায় এমন নয়, বরং সংঘাত বা সংকটকালীন পরিস্থিতিতে ট্রমা বা মনঃসামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করে। হতে পারে সেটা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনশীলতার প্রভাব বা স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত কারণ। যেমন কভিড-১৯ মহামারী ও সাম্প্রতিক ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। এটি এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করে যেখানে আর্থিক অগ্রাধিকার সামনে আসে এবং কোন খাতে ব্যয় করতে হবে তা নির্ধারণে হিমশিম খায় দরিদ্র পরিবারগুলো। এ প্রপঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আমরা দেখতে পাই, শিশুশিক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যয় করা থেকে বিরত থাকেন সংশ্লিষ্টরা।
এমন পদক্ষেপ বিভিন্ন শিশুর শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া ও সুকুমারবৃত্তির বিকাশ ঠেকিয়ে দেয় বলে জানান এডুকেশন ক্যান নট ওয়েট (ইসিডব্লিউ) উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমিন শেরিফ। এ ট্রমার বিস্তার আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জাতিসংঘ বলছে, এর ফলে বাংলাদেশে তথা পুরো উপমহাদেশের ভবিষ্যৎ আর্থসামাজিক উন্নয়নে কালো ছায়া ফেলতে পারে। এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক যে তথ্য জানা গেছে, বিশ্বে প্রায় ২২ কোটি ৪০ লাখ শিশু মানসম্মত ও অব্যাহত (ধারাবাহিক) শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যাদের ন্যূনতম সাক্ষরতা ও সংখ্যাজ্ঞান নেই। এতে আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন যে ব্যাহত হবে সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। এ পরিস্থিতি কীভাবে সামাজিক স্তর থেকে শুরু করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে নেতিবাচক ভূমিকা রাখবে সেদিকে আলোকপাত করেছেন এন হোসাইন।
- ট্যাগ:
- মতামত
- শিক্ষা
- সংকট
- আর্থিক সহায়তা