কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পুতিন এরদোয়ান সম্পর্ক পশ্চিমাদের অভিমান

দেশ রূপান্তর রায়হান আহমেদ তপাদার প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২৩, ১০:৩০

ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা জগতের কাছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এখন আর্থ-রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে রীতিমতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরে পরিণত হয়েছেন। তার বিভিন্ন পদক্ষেপ কিংবা কর্মকাণ্ডের প্রতি আস্থা না রাখা যেমন বিপদের, তেমনি তাকে সম্পূর্ণ মুক্তহস্ত করে ছেড়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত সামলানো যাবে কি না, সেটা নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি এবার দেশটির প্রায় শতকরা ৫৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাকে ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে আরব দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা। তুরস্ক এবং প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ব্যাপারে আরব দেশের সরকার ও জনগণের এই বিপরীত অবস্থান উন্মোচিত হয়েছে অতি সম্প্রতি প্রকাশিত আরব জনমতের ওপর একটি ব্যাপক-ভিত্তিক জরিপের ফলাফলে। জানা গেছে, জরিপের ৫৮ শতাংশই মনে করেন, অন্য যেকোনো দেশের নীতির তুলনায় তুরস্কের মধ্যপ্রাচ্য নীতি আরব স্বার্থের পক্ষে। ফিলিস্তিন ইস্যু তো বটেই, এমনকি সিরিয়া এবং লিবিয়ায় তুরস্কের বিতর্কিত সামরিক হস্তক্ষেপও সিংহভাগ আরব জনগণ সমর্থন করছে। এশিয়া ও আফ্রিকায় আরব বিশ্বের ১৩টি আরব রাষ্ট্রে বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সাধারণ আরব জনগণের মনোভাব জানতে এই জরিপটি করেছে দোহা এবং বৈরুত-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘আরব সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি স্টাডিজ’। গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারেস্টের প্রধান এবং মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির বিশ্লেষক সামি হামদি মনে করেন, তুরস্ক রাষ্ট্রের চেয়ে ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যে সাধারণ আরব জনগণের বিরাট একটি অংশের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছেন, তা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।


তিনি বলেন, সন্দেহ নেই তুরস্কের গ্রহণযোগ্যতা, বিশেষ করে সাধারণ প্রান্তিক আরব জনগোষ্ঠীর কাছে, বাড়ছে এবং গ্রহণযোগ্যতা বাড়ার পেছনে তুরস্ক রাষ্ট্রের চেয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ভাবমূর্তি প্রধান ভূমিকা রাখছে। এর মধ্য দিয়ে তুরস্কের বৈশ্বিক কৌশলগত তাৎপর্য কী, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তবে এই বিশ্বনেতাদের বাইরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন হচ্ছেন আলাদা। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে উজ্জীবিত করতে এতটাই আগ্রহী ছিলেন যে, ভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার আগেই এরদোয়ানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।


তুরস্কের যে নীতি রাশিয়ার বিশেষভাবে পছন্দ, তা হচ্ছে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর ক্রেমলিনকে একঘরে করে দিতে এরদোয়ানের অস্বীকৃতি। এমনকি ন্যাটোতে তুরস্কের মিত্ররা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরও এরদোয়ান সেই পথ ধরেননি। দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর পাঠানো বার্তাও বেশ উষ্ণ ছিল। ক্রেমলিনের প্রতি এরদোয়ানের সহানুভূতিশীল হওয়া এবং ক্ষমতার দুই দশকে ঘরের ভেতরে বাক্স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মনোভাব টেনে ধরার বিষয়টি পশ্চিমা এই নেতাদের অপছন্দ হলেও দিন শেষে তুরস্ক তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। এরদোয়ান হচ্ছেন এমন এক নেতা, যিনি একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে পারেন, আবার ইউক্রেনেও সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা ঘটিয়ে গম সরবরাহব্যবস্থা সচল করে সুনাম কুড়িয়েছেন, যে গমের ওপর বিশ্বের বড় একটি অংশ নির্ভরশীল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও