মায়েদের প্রসবোত্তর বিষণ্নতার ঝুঁকি

সমকাল ডা. মো. শামীম হায়দার তালুকদার প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৩, ০১:৩১

পরিবারে সন্তান আসা মানে বাড়িতে আনন্দের বাতাস বইতে থাকা। নতুন শিশু সবার মনোযোগ কাড়ে। পরিবারের সবাই নতুন শিশুর যত্ন নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে এই সময়ে মায়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। সন্তান হওয়ার পর মা যদি সঠিক খাবার খেতে না পারে তাহলে তা শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। মাকে এই সময় নানা দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। কিন্তু প্রসূতি এ সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল থাকে। বাড়ির সবাই তখন নতুন সদস্যকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেকেই মায়ের স্বাস্থ্যের কথা ভুলে যায়। শুধু শরীর না; মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও এই সময় যথেষ্ট নজর দেওয়া প্রয়োজন। নানা কারণে এ সময়ে মায়ের মন ভালো থাকে না। আর মন ভালো না থাকলে তার শরীরও ভালো থাকবে না। এই মন খারাপ হওয়ার মূল কারণ প্রসবোত্তর অবসাদ, যাকে ইংরেজিতে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন (পিপিডি) বলা হয়ে থাকে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাচ্চা জন্মের দুই-তিন দিন পর থেকে হতাশা এবং উদ্বেগের অনুভূতি হওয়া খুবই সাধারণ। কেউ অকারণে কান্না অনুভব করতে পারে; ঘুমাতে সমস্যা হতে পারে বা নতুন শিশুর যত্ন নেওয়ার ক্ষমতা নিয়েও নিজের মধ্যে সংশয় তৈরি হতে পারে। এটি মূলত এক ধরনের হরমোনের মাত্রা পরিবর্তনের কারণে হয়। কিন্তু হরমোনের পরিবর্তনই একমাত্র কারণ নয়। এর বাইরে আরও কিছু কারণ রয়েছে। যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি বা অবসাদ, বুকের দুধ খাওয়ানোর চ্যালেঞ্জ এবং প্রসবোত্তর অন্যান্য জটিলতা, আগের কোনো মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যা, জৈবিক কারণ, পারিবারিক সমর্থনের অভাব, শৈশবের কোনো কঠিন অভিজ্ঞতা, লাঞ্ছিত হওয়ার অভিজ্ঞতা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, জীবন পরিচালনায় চাপ ইত্যাদি অনুভূত হতে পারে।


পরিবার, প্রিয়জন বা বন্ধুদের কাছ থেকে সহযোগিতা ও সমর্থন পেলে এসব অনুভূতি সাধারণত কোনো চিকিৎসা ছাড়াই দুই সপ্তাহের মধ্যে চলে যায়। এটাকে বলে বেবি ব্লুজ। তবে প্রসবোত্তর বিষণ্নতা বেবি ব্লুজ থেকে আলাদা। এটি সাধারণত প্রসূতির শিশু জন্মদানের দুই থেকে আট সপ্তাহ পরে ঘটে। তবে শিশুর জন্মের এক বছর পর্যন্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রসবোত্তর বিষণ্নতা সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শুধু দুঃখবোধ নয়; তীব্র উদ্বেগের অনুভূতিও প্রসবোত্তর বিষণ্নতার একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য। যেসব উপসর্গে প্রসবোত্তর বিষণ্নতা প্রকাশ পায়, তার মধ্যে রয়েছে ক্রমাগত কান্নাকাটি, শিশুর সঙ্গে বন্ধনের অভাব এবং মায়ের নিজের ও শিশুর যত্ন নেওয়ার সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ। প্রসূতি ক্লান্ত থাকে বলে শুয়ে জেগে থাকে; ঘুমাতে পারে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও