সমরেশের জন্য ভালোবাসা

সমকাল সেলিনা হোসেন প্রকাশিত: ০৯ মে ২০২৩, ০১:৩১

বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় ধারার সার্থক উত্তরাধিকারী সমরেশ মজুমদার। সত্তর-আশির দশক থেকে দুই বাংলায় যাঁদের লেখা পাঠক সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে, সমরেশ মজুমদার তাঁদের অন্যতম। এক সময় আমাদের দেশে সাময়িক পত্রগুলোর ভূমিকা অনেক বেশি ছিল। এখনও আছে যদিও, তবু সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, আগে সে ভূমিকা ছিল আরও বড়। সেই জায়গাগুলোয় নিয়মিতভাবে আমরা সমরেশ মজুমদারের লেখা পেয়েছি এবং সেসব লেখা আমাদের রুচি ও সমাজকে প্রভাবিত করেছে। একই সঙ্গে কালোত্তীর্ণ লেখার রচয়িতা ও বহুপ্রজ- এমন সমন্বয়ের লেখক শুধু বাংলা কেন; পৃথিবীর কোনো ভাষাতেই খুব বেশি পাওয়া যায় না। সেই জায়গা থেকে সমরেশ মজুমদার আমাদের চিরকালীন গৌরবের উপলক্ষ হয়ে থাকবেন।


সমরেশ সম্ভবত সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়ে থাকবেন তাঁর উপন্যাস চতুষ্ক– উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ ও মৌষলকাল নিয়ে। এর ভেতর উত্তরাধিকার যখন প্রকাশিত হয়; সেই ১৯৭৯ সালের কথা; তখন থেকে যে আবেশ তৈরি হয়েছে পাঠকের মনে, সেই আবিষ্ট ভাব কি আজও কেটেছে? আমি মনে করি– না। আমি বিশ্বাস করি, সমরেশ মজুমদারের পাঠক হিসেবে ‘উত্তরাধিকার’-এর উত্তরাধিকার বহন করে চলবে আগামী দিনের পাঠককুল। সেই যে স্বর্গছেঁড়া টি এস্টেট, আঙরাভাসা নদী– সে তো কেবল অনিমেষ মিত্রের হয়ে থাকেনি। হয়ে গেছে প্রত্যেকের। সাধারণ মানুষের আন্দোলনভাবনা, সংগ্রামচেতনা– এই জায়গাগুলো নিয়ে একেবারেই যেন প্রাকৃতিক শক্তি দিয়ে খেলেছিলেন সমরেশ। কালবেলা, কালপুরুষে যা আরও বিকশিত, পরিণত। গর্ভধারিণীর জয়িতার কথা কি কোনোদিন ভুলতে পারবে কেউ? সমাজের প্রচল কাঠামো ভেঙে ফেলে মানুষের জন্য মানুষের তৈরি সাম্যের নতুন সমাজ গড়ার যে প্রত্যয় বন্ধুরা দেখিয়েছে; এর পর তো পাঠকের মানস বদলে গিয়েছিল অনেকখানি– বলাই যায়। সাম্যবাদের প্রতি একটা আবেগ; বিরুদ্ধ পরিবেশ নিয়ে একটা উদ্বেগ কিন্তু উস্কে দিয়েছিল ওসব বই। উপন্যাসের সক্ষমতা, গল্পের ক্ষমতার জায়গা তো এটাই। এমনকি এখনও যখন পশ্চিমবাংলার কোনো বিপ্লবী প্রেক্ষাপটের সৃজনশীল লেখা কিংবা চলচ্চিত্র সামনে আসে, আমার মনে সমরেশের সেই সৃষ্টিগুলোই আবার দোলা দিয়ে যায়।  


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও