রাজস্ব আহরণ খাতের সংস্কার

দেশ রূপান্তর মোহাম্মদ আবদুল মজিদ প্রকাশিত: ০৫ মে ২০২৩, ০৯:৩১

আগামী অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা চলতিবারের চেয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কী কৌশল নিতে যাচ্ছে তা নিয়েই মূলত এনবিআর প্রধান কার্যালয়ে সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও হয়। সংগত কারণে আইএমএফের দেওয়া রাজস্ব সংস্কারের কতটা আগামী অর্থবছরের রাজস্ব বাজেট প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে সে প্রসঙ্গটি উঠে আসে আলোচনায়।


সংস্কারের অংশ হিসেবে আগামী অর্থবছরের রাজস্ব বাজেট প্রস্তাবে বেশ কিছু খাত বা পণ্য থেকে ভ্যাট অব্যাহতি তুল নেওয়া হবে, বিদ্যমান কর অবকাশ সুবিধার আওতা কমানো হবে। এ ছাড়া সঠিক হিসেবে রাজস্ব আদায় করতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, নতুন আয়কর আইনের প্রয়োগ, অর্থ পাচার রোধে করণীয় নির্ধারণ, মিথ্যা ঘোষণা বন্ধে বন্দরে স্ক্যানার ব্যবহার নিশ্চিত করা, এনবিআরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। বৈঠকে স্বচ্ছতার সঙ্গে ভ্যাট আদায়ে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) সরবরাহের অগ্রগতি, রাজস্ব জালের বিস্তার এবং নতুন ২০ লাখ করদাতা সংগ্রহ করার বিষয়েও কথা হয়। ঋণ অনুমোদনের আগেই সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, শর্ত মানা না হলে ঋণের কিস্তি ছাড় স্থগিত করা হবে। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগেই আইএমএফ দেখতে চায় তাদের দেওয়া সংস্কারের কতটা পূরণ করেছে এবং বাকিটা পূরণে পরিকল্পনা কী। শর্ত বাস্তবায়নের হালনাগাদ পরিস্থিতি জানার তাগিদ এবার একটু বেশি করে দিচ্ছে আইএমএফ। ১৯৭২ সালে আইএমএফের সদস্য হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ এ যাবত বারোবার সংস্থাটির বিশেষ ঋণ (সংস্কার কর্মসূচি মূলক) গ্রহণ করেছে। নিকট অতীতে ২০১০ সালে ইসিএফ লোন গ্রহণ ও শর্ত পরিপালনে বাংলাদেশের প্রয়াস ও আন্তরিকতা থাকলেও কার্যকর ফলাফল তেমন দৃশ্যগোচর হয়নি বলে আইএমএফ এবার বেশ সতর্কতার সঙ্গে অগ্রগতি পর্যালোচনার ওপর জোর দেবে বা দিচ্ছে। মনে পড়ে ১৯৯০ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ের কথা। বাংলাদেশের রিজার্ভ তখন ৯৯০ মিলিয়ন ডলার, সে সময় মাসিক আমদানির পরিমাণ ৪ মিলিয়নের একটু ওপরে, সে হিসাবে তিন মাসের আমদানি বিল দাঁড়ায় ১৩ মিলিয়নের মতো। ৯৯০ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ অপর্যাপ্ত বিধায় বেশ কিছুদিন ধরে বহির্বাণিজ্যে ক্রেডিট ওর্দিনেস বেশ কমে যায়, এলসি খোলা যাচ্ছিল না। তদানীন্তন সরকারের তখন মাগরিবের ওয়াক্ত চলছে। ফরেন রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য হন্য হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি আমরা। বাইরের থেকে সংস্কারের এক গাদা প্রেসক্রিপশন, সরকার যা বলে আমরা এটা করব সেটা মানব তার কোনোটাই বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। হঠাৎ একটা সুযোগ এলো জাপান বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়নের এনার্জি সেক্টরে ক্রেডিট দেবে, তবে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশ লাগবে। বিশ্বব্যাংক অনেক দিন ধরে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সংস্কার আনতে বলছে। ২ জুন ১৯৯০ ইআরডি থেকে আমরা বললাম সব করব আগে আমাদের টাকাটা দিন। অপরপক্ষ থেকে বলা হলো, তোমাদের মুখের কথায় কাজ হবে না, ঠিক আছে ১২ জুন অর্থমন্ত্রী (জেনারেল মুনএম) বাজেট বক্তৃতায় অন্তত দেশবাসীর সামনে বিদ্যুৎ খাতের সংস্কার (সিস্টেম লস কমানো, কেনাকাটায় স্বচ্ছতা, বিদ্যুতে ভর্তুকি হ্রাস ইত্যাদি) সম্পর্কে কর্মপরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলে বক্তৃতার কপি দেখে ৪০০ মিলিয়ন ক্রেডিট ছাড়ে সম্মতি মিলবে। হলোও তাই। ১৬ জুন ব্যাংক অব টোকিও থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হয়। সরকারের খতম তারাবি হয় কয়েক মাসের মধ্যে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও