চীন প্রশ্নে ইউরোপের ‘ভাঙা আয়না’র নীতিতে লাভবান কারা

প্রথম আলো ফয়সাল আল ইয়াফি প্রকাশিত: ০২ মে ২০২৩, ০৭:০৪

নিজেকে ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখতে চান, এ রকম একজন নেতা এমানুয়েল মাখোঁ। তিনি বিভেদ তৈরি করার মতো যুক্তি মহাদেশটির অন্য নেতাদের প্ররোচিত করছেন। আর নিশ্চিতভাবেই সেটা উপভোগও করছেন। বেইজিং থেকে ফিরে আসার পর মাখোঁ বিষয়টিতে সর্বশেষ নজিরটি দেখালেন। এবারের চীন সফরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।


পশ্চিমা বিশ্বের বেশির ভাগ নেতা এখন এই ভেবে বিহ্বল যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে যে গোলমাল সৃষ্টি হয়েছে, সি চিন পিং তাইওয়ান গ্রাস করার কাজে সেটাকে ব্যবহার করতে পারেন। এ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুললেন মাখোঁ। তাঁর ভাষ্য হলো, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই তাইওয়ান ইস্যুতে ভিন্ন দৃষ্টি থেকে দেখা উচিত।


মাখোঁ বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো, এ ধরনের ভাবনা যে আমরা ইউরোপিয়ানরা অবশ্যই আমেরিকানদের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলব এবং মানিয়ে নেব এবং চীনের প্রতি অতি প্রতিক্রিয়া দেখাব। বিষয়টি ইউরোপকে বিশ্বের শক্তিশালী তৃতীয় মেরু বানানোর চেয়ে বরং যুক্তরাষ্ট্রের “অনুগত মহাদেশ” করে তুলছে।’


এরপর এ সপ্তাহে ক্রিমিয়ার সার্বভৌমত্ব বিষয়ে একেবারে খোলা বক্তব্য এল। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লু শায়ে শুধু ক্রিমিয়ার সার্বভৌমত্ব নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেননি, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত সব স্বাধীন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব নিয়েই তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। অথচ আন্তর্জাতিক আইনে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্ত ক্রিমিয়া জোর করে দখল করে রেখেছে রাশিয়া। লু শায়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে...এই সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর কার্যকর মর্যাদা নেই।’


এই বক্তব্যে প্রথম প্রতিবাদ এসেছে লাটভিয়া, লিথুনিয়া ও এস্তোনিয়ার দিক থেকে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে সাবেক সোভিয়েতভুক্ত এই তিন দেশ হুমকির মুখে আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও